চীনা আগ্রাসন নিয়ে মোদী সরকারের নির্দিষ্ট কোনও নীতি নেই। চীনকে ভয় পেয়ে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপোস করছে তারা। বারবারই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে আসছে বিরোধীরা। লাদাখের পরে এবার যেমন অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়েও চলছে চীনা অনুপ্রবেশ। যা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত মোদী সরকার। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অভিযোগ তুলেছেন, চীনা সেনাদের মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর বহু বিজ্ঞাপিত ৫৬ ইঞ্চির ছাতির বড়াই চুপসে গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর মুখপত্রে অভিযোগ আনা হয়েছে, ভারতে চীনের সাংস্কৃতিক প্রভাব বাড়ানোর জন্য দায়ী রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন, জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক-ছাত্র এবং চীনা অনুদান পাওয়া কয়েকটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর দায়ী শাহরুখ খান, আমির খান, কবির খানের মতো অভিনেতা, যাঁরা চিন সরকারের আমন্ত্রণে বেজিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির ছিলেন। অভিযোগ করা হয়েছে, জওহরলাল নেহেরুও চীনের প্রতি দুর্বল ছিলেন।
সঙ্ঘের মুখপত্রের সাম্প্রতিক কয়েকটি সংখ্যাতেই ‘চীন-প্রেমী’ বাছাই করে তোপ দাগা চলছে। বিজেপি সরকার তাওয়াংয়ের ঘটনায় বিতর্কের মুখে পড়ার পরে সর্বশেষ সংখ্যায় এই প্রচেষ্টায় বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের মতো বেসরকারি সংগঠন ২০০৫ সালে চীনের টাকা নিয়ে এখনও এই কাজ করে চলেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে সঙ্ঘের মুখপত্রে। নাম করা হয়েছে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহেরু থেকে তাঁর নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়টিরও। এ দেশের কমিউনিস্ট নেতাদেরও দেশে চীনা প্রভাব ছড়ানোর জন্য দায়ী করা হয়েছে সঙ্ঘের মুখপত্রে।
জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্ররা ছাড়া অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থের বিনিময়ে চীনা মতবাদ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি সঙ্ঘের মুখপত্রের প্রধান প্রতিবেদনের লেখক ‘হিমালয়ান এশিয়ান স্টাডিজ অ্যান্ড এনগেজমেন্ট’-এর চেয়ারম্যান বিজয ক্রান্তির। অর্থের বিনিময়ে মুম্বইয়ের চলচ্চিত্র সাম্রাজ্যেও চীন প্রভাব বিস্তার করেছে অভিযোগ করে শাহরুখ খান, আমির খান, কবির খানের মতো ধর্মীয় সংখ্যালঘু অভিনেতাদের চিহ্নিত করেছে সঙ্ঘের মুখপত্র। বেজিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আতিথ্য দিয়ে চীন তাঁদের বশ করে ফেলেছে বলে দাবি সঙ্ঘ-মুখপত্রের লেখকের।