এবার সড়কপথে যুক্ত হতে চলেছে কলকাতা ও বারাণসী। নির্মিত হবে প্রায় ৬২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ে। সম্প্রতি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে তৎপর কেন্দ্র ও রাজ্য। উল্লেখ্য, গতকাল নবান্নে এই নিয়ে বৈঠকও হয়ে গিয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী-সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন সড়ক সংশ্লিষ্ট ছয় জেলার জেলাশাসকরা। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ এনএইচএআই একটি খসড়া প্রস্তাবও এদিন উপস্থাপন করেছে বলে জানা গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, প্রস্তাব বিশ্লেষণের পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, এনএইচএআইয়ের প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী পুরুলিয়া থেকে এই সড়ক বাংলায় প্রবেশ করবে। তারপর বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর হয়ে এই সড়ক হাওড়ার বাগনানের ছ’নম্বর জাতীয় সড়কে এসে মিশবে। যার ফলে ওই এলাকায় যানজট বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। কলকাতামুখী যান চলাচল ব্যাহত হবেই। এই কারণে হুগলি নদীর উপর তৃতীয় একটি সেতু গড়ে, দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডায়মন্ডহারবার রোড বা ১১৭-বি জাতীয় সড়কের সঙ্গে এই সড়ক যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিল নবান্ন। বজবজের পুজালির কাছে গঙ্গার উপরে তৃতীয় হুগলি সেতু তৈরি করার প্রস্তাবও দিয়েছে রাজ্য। ওই সেতু উলুবেড়িয়াকে যুক্ত করবে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, রাজ্যের দাবি মেনেই ডায়মন্ডহারবার রোড পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে সম্প্রসারিত হবে। কেন্দ্রের প্রস্তাব মেনে বাগনানে ছ’নম্বর জাতীয় সড়কে এই রাস্তা মিশলে সাঁতরাগাছি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তীব্র যানজট হবে। গঙ্গার উপর সেতু তৈরি হলে, হাওড়া এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর অনেকটাই চাপ কমবে। রাজ্যের প্রস্তাব অনুযায়ী কাজ হলে, বাংলাতেই প্রায় ২৭০ কিলোমিটার সড়কপথ তৈরি হবে। এই কাজে রাজ্যের প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হতে পারে। সব প্রস্তাবে কেন্দ্র-রাজ্য সহমত হলেই প্রয়োজনীয় জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হবে। এই মহাসড়কের বাংলার অংশ তৈরি করতে প্রায় তিন বছর লাগতে পারে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের।