২০২৩-এই বিধানসভা ভোট ত্রিপুরায়। তার আগে দলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় উঠে আসা ছবিতে কিছুটা উদ্বেগে ত্রিপুরা বিজেপি।
ত্রিপুরা বিজেপি সূত্রে খবর, দলের জনভিত্তি, এখনই ভোট হলে কত আসন পেতে পারে এইরকম একটা অনুমান পেতে পেশাদার সংস্থাকে সমীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরে সেই সংস্থার সমীক্ষায় উঠে এসেছে এখনই ভোট হলে ত্রিপুরায় বিজেপি মেরেকেটে ২২টি আসন পেতে পারে।
ত্রিপুরা বিধানসভায় মোট আসন ৬০টি। ২০১৮ সালের ভোটে বিজেপি একাই পেয়েছিল ৩৬টি। জোটসঙ্গী আইপিএফটি পেয়েছিল আটটি। অন্যদিকে সিপিএম তথা বামেরা পেয়েছিল ১৬টি আসন।
এই পাঁচ বছরে ত্রিপুরার রাজনীতির সমীকরণ অনেক বদলে গিয়েছে। জনজাতি ভোটকে এককাট্টা করা আইপিএফটি পার্টিটাই উঠে গিয়েছে এই সময়ের মধ্যে। নতুন দল হিসেবে তিপ্রা মথা মাথা তুলেছে। ত্রিপুরা রাজবাড়ির ছেলে প্রদ্যোতকিশোর দেববর্মনের দল এডিসি (স্বশাসিত জেলা পরিষদ) ভোটে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে।
ভোটের আগে মথার সঙ্গে বিজেপির জোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারা ইতিমধ্যেই প্রদ্যোতকে বার্তা দেওয়া শুরু করেছেন বলে খবর। পর্যবেক্ষকদের অনেকের বক্তব্য, জনজাতি অধ্যুষিত ১৪টি আসনে মথার কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার প্রয়োজন নেই। তাই তারা চাইবে, ভোটের পর বিজেপির সংখ্যা কম পড়লে দরাদরির রাজনীতি করতে।