এর আগে দাবি জানিয়ে মুখ পোড়াতে হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। বিরোধী দলনেতার পর এবার মুখ পুড়ল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও। রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করার দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানিয়ে দিলেন, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। এখানে কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করতে পারে না। অধিবেশন শুরু পর থেকেই শাহর সাক্ষাৎ পেতে মরিয়া ছিলেন সুকান্ত। কিন্তু তারমাঝেই দেখা করেন শুভেন্দু। রাজ্যের দুই শীর্ষনেতার সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কেন বৈঠক করতে হচ্ছে শাহকে। জল্পনা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।
প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কী শুভেন্দুর দেওয়া তথ্য বিশ্বাসযোগ্য হয়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। তাই আলাদা করে সুকান্তর সঙ্গে কথা বলে সত্যতা যাচাই করে নিলেন তিনি। সেইসঙ্গে রাজ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোন পর্যায়ে রয়েছে তাও দু’জনের মুখ থেকে আলাদা করে বুঝে নিতে চাইছেন গেরুয়া শিবিরের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’। যদিও বুধবার সংসদে অমিত শাহর সঙ্গে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও সংগঠন নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এদিন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।
পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে আগেরদিন রাতেই মুরলীধর সেন লেনের রাজ্য কার্যালয়ে নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে শাহর দু’পাশে আলো করে বসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৈঠকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও সংগাঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সংগঠনকে আরও মজবুত করার নির্দেশ দেন শাহ।
এরপর সোমবার দলের সাংসদ ও রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী সুভাষ সরকারের বাসভবনে মধ্যরাত পর্যন্ত বৈঠক করেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সংসদে গিয়ে অমিত শাহর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন শুভেন্দু। কিন্তু তার অনেক আগে থেকেই চেষ্ঠা করেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেখা পাননি সুকান্ত। শুভেন্দু কলকাতা ফিরে যেতেই বুধবার সংসদের নিজের দফতরে সুকান্তকে ডেকে নেন শাহ। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন, কেন দুই নেতার সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করলেন তিনি।