সদ্যই শেষ হয়েছে ফুটবল বিশ্বকাপ। ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে তৃতীয়বারের জন্য খেতার জিতেছে আর্জেন্টিনা। তবে এবারের বিশ্বকাপে বিশেষ নজর কেড়েছে মরক্কো। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস তৈরি করেছে তারা। তবে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়নি আশরাফ হাকিমিদের। শেষ চারের লড়াইয়ের পর তৃতীয় স্থানের ম্যাচেও মরক্কোকে হারতে হয়েছে ক্রোয়েশিয়ার কাছে। তবে দেশের মানুষের কাছে নায়কের সম্মান পেলেন মরক্কোর ফুটবলাররা। বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করে দেশে ফেরা মরক্কোর ফুটবলারদের স্বাগত জানাতে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। বিমানবন্দর থেকে হুড খোলা বাসে করে ফুটবলারদের নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানী রাবাতের প্রাণকেন্দ্রে। রাবাতের প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ফুটবলারদের বাস ঘিরে রেখেছিলেন পুলিশকর্মীরা। যাত্রা পথের দু’দিকে ফুটবলারদের স্বাগত জানানোর জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজার হাজার মানুষ।
উল্লেখ্য, এদিন জাতীয় পতাকা, জাতীয় দলের জার্সি গায়ে উৎসবে মাতেন মরক্কোর ফুটবলপ্রেমীরা। অনেকে এসেছিলেন ড্রাম নিয়ে। আনন্দে মাতোয়ারা বহু মানুষকে নাচতে বা লাফাতে দেখা গিয়েছে। কেউ কেউ আবার আতসবাজি ফাটিয়েছেন। অনেকে ফুটবলারদের ছোঁয়ার চেষ্টা করছিলেন। যদিও নিরাপত্তার জন্য ফুটবলারদের কাছাকাছি কাউকে যেতে দেওয়া হয়নি। উচ্ছ্বসিত ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ছিলেন প্রচুর মহিলা এবং শিশুও। সকলেই দলের পারফরম্যান্স নিয়ে উচ্ছ্বসিত। ফুটবলারদের লড়াইয়ের প্রশংসা করছেন। চতুর্থ স্থানে শেষ করলেও মরক্কোর সাধারণ মানুষের কোনও আক্ষেপ নেই। ফুটবলারদের এখন জাতীয় নায়কের চোখে দেখছে দেশবাসী। সাধারণ মানুষের উন্মাদনায় আপ্লুত মরক্কোর কোচ, ফুটবলাররাও। হাসি মুখে হাত নেড়ে তাঁরা মানুষের আবেগ, ভালবাসার জবাব দেন। কয়েক জন ফুটবলার জনতার দিকে চুম্বন ছুড়ে দেন। এবছর আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসাবে প্রথমে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে এবং পরে সেমিফাইনালে উঠেছেন হাকিমিরা। বেলজিয়াম, স্পেন, পর্তুগালের মতো ফুটবল বিশ্বের প্রথম সারির দলকে হারিয়ে ফুটবলবিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিল মরক্কো।