মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন, উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর মতো কলকাতায় গঙ্গার ঘাটে আরতির ব্যবস্থা করতে হবে। এর পরেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিং গঙ্গার একাধিক ঘাট পরিদর্শন করেন। তার থেকে বেছে নেওয়া হয় বাজেকদমতলা ঘাটকে। এবার সেই ঘাটে গঙ্গা আরতি শুরু করার আগে বেনারস উড়ে যাচ্ছেন মেয়র পারিষদ-সহ, পুর কমিশনার-সহ আধিকারিকরা। শেষ বারের মতো মিলিয়ে নেওয়া হবে নকশা। যেমনটা থাকে বেনারসে তেমনটাই থাকবে কলকাতার বাজেকদমতলা ঘাটেও।
ইতিমধ্যেই, তৈরি হয়ে গিয়েছে ইস্পাতের বেদি। টানা ষোলোটি ইস্পাতের বেদি থাকবে ঘাটে। সেই বেদির উপর দাঁড়িয়েই হাতে একশো আটটা করে প্রদীপ তুলে নেবেন পুরোহিতরা। একদিকে থাকবে গাঁদা ফুলের বিছানা। অন্যদিকে দর্শকদের জন্য বসার ব্যবস্থা। স্কেচে দেখা যাচ্ছে, গঙ্গায় বিশেষ নৌকার ব্যবস্থা করা হবে। নৌকাবিহার করেও আরতি দেখতে পারবেন ইচ্ছুকরা। মেয়র পারিষদ জানিয়েছেন, ঘাটে যে ধরনের আধুনিক মানের আলোর ব্যবস্থা করা হবে তা বারাণসীতেও নেই। কিছু স্টলও থাকবে। সেখান থেকে ঠাকুরের ফুল, মালা, ধূপকাঠি, কিনতে পারবেন দর্শকরা।
মেয়র পারিষদ তারক সিং জানিয়েছেন, বেনারসে গিয়ে প্রাথমিক নকশা করা হয়েছে। সেই মতোই এগোচ্ছে কাজ। দ্বিতীয়বার বেনারস গিয়ে সরেজমিনে দেখা হবে সন্ধেবেলায় কেমন ব্যবস্থা থাকে সেখানে। মেয়র পারিষদের কথায়, কলকাতার এই গঙ্গা আরতি জাঁকজমকে বেনরসকেও ছাপিয়ে যাবে। পুরসভা সূত্রের খবর, মেয়র পারিষদ তারক সিং ছাড়াও বেনারস যাচ্ছেন, পুর কমিশনার বিনোদ কুমার, পি কে দুয়া (ডিরেক্টর জেনারেল), এবং প্রদীপ সামন্ত। তারক সিং জানিয়েছেন, আর সাতশো কিলোমিটার পেরিয়ে বারাণসী যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এই তিলোত্তমাতেই দশাশ্বমেধ ঘাটের গঙ্গা আরতি মানুষকে সম্মোহিত করে দেবে।