বিশ্বে এখনও প্রতি সপ্তাহে ১০ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। বিশেষ করে চীনের করোনা পরিস্থিতি ফের গোটা বিশ্বের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাগরিকদের বিক্ষোভে জিরো কোভিড নীতি শিথিল করতেই সেখানে কোভিড রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে শুরু করেছে। বাড়ছে মৃত্যুমিছিলও। এখনই যদি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে নতুন বছরের প্রথম দুই মাসের মধ্যেই করোনা সংক্রমণে কমপক্ষে ২১ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। আমেরিকার তরফেও চীনের করোনা সংক্রমণ নিয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট ভারতে ঢুকে পড়ছে কি না, তার ওপর নজরদারি চালানো আরও বেশি প্রয়োজন বলে মনে করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। চীনের বাড়ন্ত করোনা সংক্রমণ নিয়ে সমস্ত রাজ্যকে চিঠিও দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব।
জানা গিয়েছে, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের ওপর নজরদারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। পাশাপাশি, করোনা আক্রান্তদের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ওপরে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্যগুলিকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, ‘সম্প্রতিই জাপান, আমেরিকা, রিপাবলিক অব কোরিয়া, ব্রাজিল ও চীনে যে হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে আইএনএসএসিওজি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত করতে জিনোম সিকোয়েন্সিং করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’ চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে জিনোম সিকোয়েন্সিং। যদি দেশে কোনও করোনা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ে, তবে সেই সংক্রমণ রুখতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
![চীনে করোনার বাড়তেই চিন্তা - সমস্ত রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ওপরে জোর দেওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2022/12/WhatsApp-Image-2022-12-21-at-4.29.11-PM-4.jpeg)