আগামী মাসেই গঙ্গাসাগর মেলা। ৮ থেকে ১৭ জানুয়ারি চলবে মেলা। ১৪ এবং ১৫ জানুয়ারি পুণ্যস্নান। প্রতিবারের মতো এবারও লক্ষাধিক পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগর মেলায় ভিড় জমাবেন বলেই আশা প্রশাসনের। যাতে কোনও অশান্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে সতর্ক নবান্ন। বুধবার নবান্নের সভাঘরে গঙ্গাসাগর মেলা প্রস্তুতি বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশাসন কী কী ব্যবস্থা নিল: এবারও গঙ্গাসাগর মেলায় সিঙ্গল টিকিটের ব্যবস্থা।
গঙ্গাসাগর মেলায় যাতায়াতকারীদের জন্য ২ হাজার ২৫০টি সরকারি বাস ও ৫০০টি বেসরকারি বাসের বন্দোবস্ত।
পুণ্যার্থীদের সুবিধায় সব বাসে থাকবেন সাগরবন্ধুরা।
হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায় অতিরিক্ত ট্রেন চালানোর আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর।
নিরাপত্তার স্বার্থে থাকবে ১০০টি অ্যাম্বল্যান্স, ১টি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স এবং ৪টি ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে।
স্থানীয় হাসপাতালগুলিকে বেড বাড়ানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী।
গঙ্গাসাগর মেলার নিরাপত্তার দিকে নজরদারিতে থাকবে মেগা কন্ট্রোলরুম।
নজরদারিতে ১১৫০ সিসিটিভি থাকবে। ড্রোনেও চলবে নজরদারি।
মেলায় থাকবে ১০টি পার্কিং ও ১১টি বাফার জোন।
৩২টি ভেসেল, ২১টি জেটি, ৪টি বার্জ, ১০০টি লঞ্চের ব্যবস্থা।
গঙ্গাসাগর মেলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যাতে না ঘটে তাই ১০টি অস্থায়ী দমকল কেন্দ্র তৈরি করা হবে। থাকবে ২৫টি ইঞ্জিন।
গঙ্গাসাগরে যাতায়াতের বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক মন্ত্রীরা নজরদারি চালাবেন। দায়িত্বে অরূপ বিশ্বাস, পুলক রায়, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু-সহ আরও অনেকে।
এবারও গঙ্গাসাগর মেলায় থাকবে ই-স্নান, ই-দর্শন ও ই-পুজোর বন্দোবস্ত।
গতবারের মতো এবার গঙ্গাসাগর মেলায় ট্যাক্স তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। পরিবেশ দূষণের কথা এবারের গঙ্গাসাগর মেলা প্লাস্টিকমুক্ত করার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।