বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি বলে আসছেন, বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থার অবসান দরকার। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর সঙ্গে দিন দিন বিচারালয়ের বিরোধ প্রসারিত হচ্ছে। দু-পক্ষের বিরোধ ক্রমেই চওড়া হচ্ছে আইনমন্ত্রী নতুন নতুন ইস্যুতে সরব হওয়ায়। পাল্টা জবাব আসছে আদালত থেকেও। আইনমন্ত্রীর নাম না করে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবার বলেছেন, ‘আমাদের কাছে কোনও মামলাই খুব ছোট নয়। আমরা যদি ব্যক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত না করি তাহলে আদালতে বসে করবটা কী!’
বুধবার, রিজিজু বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে মতভেদ নিয়ে বলতে গিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের কাজকর্ম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। বলেছিলেন, ‘অর্থহীন জনস্বার্থ মামলা এবং জামিনের আবেদন সুপ্রিম কোর্টের শোনা উচিত নয়।’ মোদীর মন্ত্রী দাবি করেছিলেন, ‘জামিনের আবেদনের মামলা হাইকোর্ট স্তরেই চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে দেওয়া দরকার।’ এখানেই থেমে না থেকে তিনি এ-ও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের উচিত সাংবিধানিক বিবাদগুলির দ্রুত মীমাংসা করা।’
রিজিজুর নাম না করে প্রধান বিচারপতি উত্তরপ্রদেশে বিদ্যুৎ চুরির একটি মামলায় ১৮ বছর কারাগারে থাকা একজনকে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দিয়ে বলেন, ‘কোনও মামলাই সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টিতে ছোট নয় এবং কোনও মামলা খুব বড় নয়। কারণ আমাদের বিবেকের কাছে জবাবদিহি করতে হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আদালতকে সব সময় নাগরিকের স্বাধীনতার আর্তনাদে সাড়া দিতে হবে। এই কারণেই আমরা এখানে আছি। আমরা যদি ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয়ে কাজ না করি এবং মানুষকে সুবিচার না দিই তাহলে আমরা এখানে কী করব!’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিদ্যুৎ চুরির অপরাধকে খুনের সঙ্গে তুলনা করা চলে না।’