একুশের ভোটযুদ্ধে ভরাডুবির পর থেকেই শনির দশা শুরু হয়েছে বঙ্গ বিজেপির। দলে গোষ্ঠীকোন্দল লেগেই আছে। যা দিল্লীর নেতাদেরও গোচরে এসেছে। যার ফলে কেশব ভবনে আরএসএসের বৈঠকে তো ডাকা হলই না। উপরন্তু বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা পোর্টের গেস্ট হাউসে তলব করে শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত সমঝে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
দলীয় সূত্রে খবর, প্রকাশ্য সভা মঞ্চে দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ, দলের মধ্যে ব্যক্তিকেন্দ্রিক মনোভাব, পরিষদীয় দলকে নিয়ে সমান্তরালভাবে পার্টি চালানোর চেষ্টা এবং দিলীপ-সুকান্তর সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলার পাশাপাশি ডিসেম্বর তত্ত্ব নিয়ে দলের কর্মীদের বিভ্রান্ত করা। দলে শুভেন্দুর এই ধরনের একাধিক কার্যকলাপে শুধু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই নয়, আরএসএসও চরম ক্ষুব্ধ। আর তাই গতকাল রাতে শুভেন্দুকে তলব করে বি এল সন্তোষ-সহ বিজেপি ও আরএসএসের শীর্ষনেতৃত্ব কড়া বার্তা দিয়েছে বলেই খবর।
পোর্ট গেস্ট হাউসের বৈঠকে দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারও ছিলেন। কেশব ভবনে সংঘের সমন্বয় বৈঠকে না ডাকা হলেও সেখানে শুভেন্দুকে কার্যত তুলোধোনা করা হয়। দিলীপ-সুকান্তরাও শুভেন্দুর ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলে জানা গিয়েছে। সবমিলিয়ে তারিখ রাজনীতি এবং মর্নিং ওয়াক নিয়ে দিলীপকে আক্রমণের পর দলের মধ্যেই কোণঠাসা শুভেন্দু। ঘরে-বাইরে এ হেন চাপের মুখে পড়ে বৃহস্পতিবার সকালেই ভোলবদল করতে দেখা যায় তাঁকে। কার্যত ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে শুভেন্দু স্বীকার করতে বাধ্য হন দিলীপ ঘোষ তাঁর নেতা।