ফের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল ‘ডবল ইঞ্জিন’ উত্তরপ্রদেশের মাটিতে। বিজেপিশাসিত এই রাজ্যে বারবার সংশয়ের মুখে পড়েছে নারীসুরক্ষা। সম্প্রতি স্ত্রীকে হত্যা করার পর আঁটঘাট বেধে বাড়ি থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে দেহ পুঁতে দিয়েছিলেন যোগীরাজ্যের জনৈক চিকিৎসক। তারপর নিজের উপর থেকে সন্দেহ দূর করতে স্থানীয় থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরিও করে আসনে। যদিও শেষমেশ খুনের দায়ে ধরা পড়লেন উত্তরপ্রদেশের লখিমুপর খেরির চিকিৎসক অভিষেক অবস্থি। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, গত ২৬শে নভেম্বর স্ত্রী বন্দনাকে খুন করেন অভিষেক। বন্দনাও পেশায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ছিলেন। ২০১৪ সালে চিকিৎসক অভিষেকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। এরপর স্বামী-স্ত্রী মিলে সীতাপুর রোডে গৌরী চিকিৎসালয় নামে একটি হাসপাতালও খুলে ছিলেন। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আশান্তি শুরু হয়ে যায়। ঝামেলা তীব্র হলে বন্দনা অন্য একটি হাসপাতালে চাকরি নেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়েছিল। সেই সময় চিকিৎসক এবং তাঁর বাবা গৌরীশঙ্কর অবস্থি ভারী কোনও বস্তু দিয়ে বন্দনার মাথায় আঘাত করেছিলেন। তাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এরপর দেহ লোপাট করতে ৪০০ কিলোমিটার দূরে গড়মুক্তেশ্বরে বন্দনার দেহ পুঁতে দিয়ে আসেন অভিষেক।
এপ্রসঙ্গে লখিমপুর খেরির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরুণ কুমার সিংহ জানান, স্ত্রীর মৃতদেহ স্যুটকেসে ভরে প্রথমে নিজের ক্লিনিকে যান অভিষেক। এরপর একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে গড়মুক্তেশ্বরে চলে যান। অ্যাম্বুলেন্স চালককে বলেন, দুর্ঘটনার মৃত্যু হয়েছে বন্দনার। পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, খুনের ঘটনার পরদিন থানায় আসেন অভিষেক। স্ত্রীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অভিযোগে জানিয়েছিলেন, বাড়ি থেকে মূল্যবান জিনিস নিয়ে স্ত্রী পালিয়েছেন। যদিও অভিষেক-বন্দনার দাম্পত্য সম্পর্কের খোঁজ নেওয়ার পরে উলটে চিকিৎসকের উপরে সন্দেহ পড়ে পুলিশের। সেই মতো তাঁর উপর নজর রাখা হচ্ছিল। এরপর রুটিন পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে চিকিৎসক অভিষেক অবস্থি। অভিযুক্তের বয়ন অনুযায়ী ৪০০ কিলোমিটার দূরের গড়মুক্তেশ্বরে মাটির নিচ থেকে বন্দনার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয়েছে শোরগোল। প্রশ্নের মুখে সে রাজ্যের প্রশাসন।
