বুধবার আসানসোলে শিবচর্চা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি বক্তব্য রেখে চলে যেতেই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয়। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে। তাতে পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মারা গিয়েছেন। সেই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে আসানসোল জেলা হাসপাতাল চত্ত্বর। এ দিন সকাল থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেন এলাকাবাসী। সঙ্গে চলতে থাকে বিজেপি বিরোধী স্লোগান।
আজ সকালে আসানসোল কর্পোরেশনের মেয়র বিধান উপাধ্যায় হাসপাতাল চত্ত্বরে আসেন। মৃতের পরিবারদের উদ্দেশে সমবেদনা জানান তিনি। তখনই তাঁকে কেন্দ্র শুরু হয় বিজেপি বিরোধী স্লোগান। মেয়র দাবি করেন, কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে অল্প কম্বল নিয়ে আসা হয়েছিল। আর কম্বলের তুলনায় অধিক সংখ্যায় মানুষকে ডাকা হয়েছিল। আর প্রচুর মানুষকে আসতে দেখে উদ্যোক্তারা পালিয়ে যান। তখনই এহেন ঘটনা ঘটেছে।
অপরদিকে, মৃতেদের পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি এই দূর্ঘটনার পর বিজেপির কেউ তাদের সাথে যোগাযোগ করতে আসেনি বলেও দাবি করেছেন অপর মৃতের পরিবার।
যদিও, এই বিষয়ে বিজেপি আসানসোল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দিলীপ দে বলেন, “কোনও মৃত্যুই কাম্য নয়। আমরা মর্মাহত। তবে যে কোনও রাজনৈতিক দলের কার্যকলাপেই এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিতে গিয়েও এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে এই বিষয়টিকে তুলে ধরে যে ঘৃণ্য রাজনীতিতে তৃণমূল নেমেছে তা নিন্দনীয়।”