তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুরসভা। এখন থেকে শহরজোড়া সব উড়ালপুলের দেখভালের দায়িত্ব থাকবে কেএমডিএ। পাশাপাশি প্রতিটি সাঁকো বা ব্রিজের দেখভালের দায়িত্ব কারা, সে কথাও প্রকাশ্যে জানাতে হবে, নির্দেশ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। কোন দফতর দেখছে, কোন ইঞ্জিনিয়ার কাজ করেছেন, সব নাম এবং ফোন নম্বর দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। যেগুলো খালের পাশ দিয়ে গিয়েছে, শহরের সেই সব ছোট ছোট সেতু সেতুগুলির দেখভালের দায়িত্ব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। সেক্ষেত্রে কোন ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্বে থাকছে সেই ব্রিজ, তাঁর নাম, ফোন নম্বর, ডিপার্টমেন্টের নাম উল্লেখ করা থাকবে সেতুতে। যাতে ব্রিজ মেরামতি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা চোখে পড়লেই নাগরিকরা জানাতে পারেন নির্দিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারকে। দ্রুত এই প্রক্রিয়া কার্যকর করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার করে সেই ব্রিজ বা সেতু পরিদর্শন করতে হবে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারকে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা শহরে সেতু বিপর্যয় নতুন ঘটনা নয়। ২০১৮ সালে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতু। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে শহরের একাধিক উড়ালপুলগুলির অবস্থা জানতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। তৈরি হয় ব্রিজ এক্সপার্ট কমিটি। এই কমিটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে শহরের সব উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে থাকে। সে কথা স্মরণ করিয়ে মেয়র বলেন, এবার ছোট ছোট সেতু বা খালের উপরের ব্রিজগুলিকেও হালকা ভাবে নিলে চলবে না। নাগরিকদের কাছ থেকে যেমন ফিডব্যাক পাওয়ার জন্য ফোন নম্বর দিতে হবে, তেমনই সংশ্লিষ্ট দফতরের কেউ প্রতি সপ্তাহে অন্তত পরিদর্শন করে দেখতে হবে যে সেতুগুলির অবস্থা কীরকম। এমনই নির্দেশ দিয়েছে পুরসভা।