প্রতিশ্রুতিমতোই শুরু হয়ে গেল কর্মযজ্ঞের প্রস্তুতি। সম্প্রতি দীঘার মোহনায় সমুদ্রের ভাঙন নিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তার কয়েকদিনের মধ্যেই উক্ত এলাকা পরিদর্শন করে আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভাঙনের স্থায়ী সমস্যা করার বার্তা দিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। বুধবার দিঘা মোহনা পরিদর্শনে যান সেচমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে আসেন তিনি। জানানো হয়, জরুরি ভিত্তিতে শুরু হবে ভাঙন রোধের কাজ। স্বাভাবিক ভাবেই এ খবরে মৎস্যজীবীদের মধ্যে ছড়িয়েছে খুশির হাওয়া। পর্যটন শহর দীঘা ও তার পারিপার্শ্বিক এলাকায় গত সোমবার পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অখিল গিরিও। বেশ কিছুক্ষণ মৎস্যজীবী এবং মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হয় তাঁদের।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভাঙন সমস্যায় জর্জরিত দীঘার মোহনা উপকূল। প্রতি অমাবস্যা, পূর্ণিমা কোটাল-সহ প্রতিকূল আবহাওয়া তৈরি হলে বিপদের প্রমাদ গুনতে হয় স্থানীয় শুঁটকি পট্টির মৎস্যজীবীদের। জোয়ার ভাসিয়ে নিয়ে যায় তাঁদের বাসস্থান। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কারবারও। কুণাল ঘোষ এলাকায় যাওয়া মাত্রই সেই সমস্ত পরিস্থিতির কথা তাঁর সামনে তুলে ধরেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে কথা বলেন কুণাল ঘোষ। ১৫ দিনের মধ্যে সেচমন্ত্রী এলাকা পরিদর্শন করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি। সমস্যা তবে বিশেষ সময় নষ্ট না করে বুধবারই হাজির হন সেচমন্ত্রী। গত ৩রা ডিসেম্বর কাঁথির সভা থেকে জনপ্রতিনিধিদের আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেকের ঘরে ঘরে রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্প পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। তার পরদিন অর্থাৎ ৪ঠা ডিসেম্বর হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যুৎবিহীন দুই গ্রাম বিষ্ণুরামচক এবং সৌতনপুরে যান কুণাল ঘোষ। কুণালের প্রতিশ্রুতির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই গ্রাম দু’টিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজ্য। এবার দীঘা মোহনার সমুদ্র ভাঙনের সমস্যা মেটার দিকেও পদক্ষেপ করা হল। স্বাভাবিকভাবেই সন্তুষ্ট এলাকাবাসীরা।