তোলপাড় বাংলার রাজনৈতিক আবহ। সোমবার সিবিআইয়ের হেফাজতে মৃত্যু ঘটেছে বগটুই-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখ। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে বইছে বিতর্কের ঝড়। উত্তাল রামপুরহাট। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে লালনের পরিবার। দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। ইতিমধ্যেই রামপুরহাটের ছড়িয়েছে আতঙ্কের রেশ। সাক্ষী দেওয়ার নাম করে গ্রামের বাসিন্দাদের তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচারের অভিযোগ করছেন সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, সিবিআই হেফাজতে থাকা বগটুই কাণ্ডের অন্যান্য অভিযুক্তদের প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বগটুই-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন জাহাঙ্গির শেখ। রামপুরহাটের পান্থশ্রীতে সিবিআই ক্যাম্পে রাখা হয়েছে তাঁকে। যেখানে বন্দী ছিলেন লালন শেখও। সোমবার লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরই সিবিআই ক্যাম্পে ছুটে যান জাহাঙ্গিরের বাবা মারফত শেখ। হাতজোড় করে সিবিআই আধিকারিকদের কাছে আরজি জানান, “লালনের মতো আমার ছেলেকে মেরে ফেলবেন না।” আতঙ্কিত বগটুই-কাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে থাকা আরেক অভিযুক্ত আনারুল হোসেন। গত ২১শে মার্চ সন্ধ্যায় বড়শাল গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। এরপর রাতে বগটুইতে একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেও খোদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিনি। নিহতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।