ডিসেম্বরে ধামাকা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারই পাল্টা এবার নন্দীগ্রামে গিয়ে কুণাল ঘোষের দাবি, নন্দীগ্রামে মানুষের যেভাবে অভ্যুত্থান হচ্ছে, যেভাবে বিজেপি থেকে কর্মীরা বেরিয়ে আসছেন তাতে ঘুম ছুটে গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর।
এপ্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতাকে বাংলার কথা না ভেবে নিজের ঘর সামলানোর পরামর্শ দেন কুণাল। একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী টেট আন্দোলনকারীদের প্ররোচনা দিচ্ছেন অভিযোগ তুলে যারা ১০০ দিনের কাজের টাকা পাননি, তাঁদের শান্তিকুঞ্জে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দেন কুণাল। যদিও এর পাল্টা জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন নন্দীগ্রামে চাটাই বৈঠকে যোগ দিতে আসেন কুণাল ঘোষ। নন্দীগ্রাম- ১ ব্লকের সোনাচূড়ার চাটাই বৈঠকে কুণাল ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান পীযূষ ভুঁইয়া, ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ সহ স্থানীয় নেতৃত্বরা। সেই বৈঠকে বিজেপির একাধিক কেন্দ্রীয় নীতির সমালোচনা করার পাশাপাশি রাজ্যের জনমুখী যাবতীয় প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন। তারপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।
নন্দীগ্রামে বিজেপির মধ্যে ভাঙন ধরেছে এবং শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগীদের ঘরওয়াপসি করাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বলে তোপ দাগেন কুণাল ঘোষ। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রামে মানুষের যেভাবে অভ্যুত্থান হচ্ছে, যেভাবে বিজেপি থেকে কর্মীরা বেরিয়ে আসছেন, তাতে ঘুম ছুটে গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। সারাদিনে ১৪ বার নন্দীগ্রামে আসছেন। কে কী ভাবে চলে গিয়েছে, তাঁকে কী ভাবে ফিরিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টা করতে হচ্ছে’।