দূরীভূত হতে চলেছে দীঘার সমুদ্র ভাঙনের সমস্যা। দ্রুত উদ্যোগের পথে রাজ্য সরকার। এর আগে হলদিয়ার দু’টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের বন্দোবস্ত করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এবার লক্ষ্য দীঘার সমুদ্র ভাঙনে সমস্যা নিবারণ। রবিবার সমস্যা নিয়ে মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সমস্যার কথা জানান সেচমন্ত্রীকেও। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেচমন্ত্রী নিজে এলাকায় আসবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। রবিবার সকালে দীঘা মোহনায় চা চক্রে শামিল হন কুণাল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অখিল গিরিও। বেশ কিছুক্ষণ মৎস্যজীবী এবং মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, এদিন সমুদ্র ভাঙন নিয়ে একাধিক অভিযোগ পান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। সরেজমিনে ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখেন কুণাল। দ্রুত সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেন তৃণমূল নেতা। সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সেচমন্ত্রী এলাকা পরিদর্শন করবেন বলেই আশ্বাস দেন কুণাল ঘোষ। এছাড়া জমির পাট্টা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত ৩রা ডিসেম্বর কাঁথির সভা থেকে জনপ্রতিনিধি আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যেকের ঘরে ঘরে রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমূলক প্রকল্প পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। তার পরদিনই হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যুৎবিহীন দুই গ্রাম বিষ্ণুরামচক এবং সৌতনপুরে যান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। স্বাধীনতার এত বছর পরে গ্রামে বিদ্যুৎ না পৌঁছনোয় কার্যত অবাক হন তিনি। কুণালের প্রতিশ্রুতির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই গ্রাম দু’টিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। দীঘা মোহনার সমুদ্র ভাঙনের সমস্যাও খুব তাড়াতাড়ি দূর হবে, আশাবাদী স্থানীয় বাসিন্দারা।