দিন দশেক আগেই কেন্দ্রকে বিঁধে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, ‘আমরাই সবচেয়ে স্বচ্ছ। কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে দয়া করে বেলাইন করার চেষ্টা করবেন না।’ এবার ফের মোদী সরকারকে একহাত নিল তারা। এবার কেন্দ্রকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, ‘এটা দেশের আইন, তাই কলেজিয়াম সিস্টেম মানতেই হবে।’ সংসদে তৈরি আইনকে সমাজের একাংশ মানতে না-চালিয়েও বিচারপতি নিয়োগে কলেজিয়াম সিস্টেমের যে কোনও পরিবর্তন হবে না, তা-ও কার্যত স্পষ্ট করে দিল শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চ।
অন্যদিকে, কলেজিয়াম-বিতর্ক নিয়ে সংসদে সরব হয়েছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। কেন্দ্রীয় সরকারের মনোভাবকেই কাঠগড়ায় তুলে সাংসদ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের নেতৃত্বাধীন কলেজিয়ামের অবস্থান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কেন্দ্র আর পাঁচটা জায়গার মতো বিচারপতি নিয়োগেও কর্তৃত্ব ফলাতে চায়। আসলে বিচারব্যবস্থাকেও নিজেদের অধীনে রাখতে চায় এই সরকার।’ সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্বরা যে ভাবে একজোট হয়ে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে নিশানা করছেন, তা ‘খুবই উদ্বেগজনক’ বলে সংসদে মন্তব্য করেন সৌগত রায়ও। তাঁর দাবি, কেন্দ্র উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিচারব্যবস্থা ও বিচারবিভাগীয় কাঠামোকে প্রভাবিত ও কুক্ষিগত করতে চাইছে। এই প্রবণতা দেশের গণতান্ত্রিক সুসংহতির পরিপন্থী বলেও মন্তব্য করেন তিনি।