তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাকে আরও শিল্পবান্ধব করে তুলতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে শুরু হয়েছে তৎপরতা। এবার জেলায় জেলায় বাণিজ্য সম্মেলনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নবান্ন। ইতিমধ্যে সমস্ত জেলা প্রশাসনকে এই মর্মেই প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতর। চলতি ডিসেম্বর মাস থেকেই জেলায় জেলায় ‘সিনারজি অ্যান্ড বিজনেস কনক্লেভ’ বা শিল্প সম্মেলন শুরু হতে চলেছে। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের তরফে সম্প্রতি জেলা প্রশাসনকে এই মর্মে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্নের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে এর আগে এই ধরনের জেলাভিত্তিক সিনার্জির মাধ্যমে যে বিনিয়োগগুলি এসেছে, বর্তমানে তা কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে সেই বিষয়েও। এই সেমিনারগুলিতে জেলায় জেলায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা এবং কোন কোন জেলায় কী কী পরিকাঠামো রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। এই সম্মেলনগুলিতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের।
প্রসঙ্গত, নবান্ন সূত্রে অনুযায়ী আগামী ১৪ই ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনা জেলা দিয়ে এই শিল্প সম্মেলন শুরু হবে। আগামী ২২শে ডিসেম্বর পশ্চিম বর্ধমান ও পূর্ব বর্ধমান মিলিয়ে আসানসোলে হবে সম্মেলন। তার পর ২৩শে ডিসেম্বর সম্মেলন হবে বীরভূম জেলায়। হুগলী জেলায় এই সিনার্জি হবে আগামী বছরের ১১ই জানুয়ারি। পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলা নিয়ে একত্রে এই শিল্প সম্মেলন হবে ২০শে জানুয়ারি। পুরুলিয়ায় হবে সেই সম্মেলন। হাওড়া জেলার এই বিশেষ কনক্লেভ হবে ৩১শে জানুয়ারি। ৯ই ফেব্রুয়ারি হবে নদিয়া জেলায়, মুর্শিদাবাদে হবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১০ তারিখে। মালদা জেলায় হবে ১১ই ফেব্রুয়ারি। এরপর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ও পূর্ব মেদিনীপুরে বাণিজ্য সম্মেলন হবে যথাক্রমে ২৮শে ফেব্রুয়ারি ও ১১ই মার্চ। পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামকে একসঙ্গে নিয়ে ১৪ই মার্চ হবে সম্মেলন। দার্জিলিং ও কালিম্পংকে নিয়ে ২৭শে মার্চ কনক্লেভ হবে দার্জিলিং জেলায়। জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার এই তিন জেলাকে একসঙ্গে নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলায় সম্মেলন হবে ২৯শে মার্চ। পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এই দুই জেলাকে একসঙ্গে নিয়ে ৩০শে মার্চ বাণিজ্য সম্মেলন হবে বলে জানিয়েছে সূত্র। ইতিমধ্যেই জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি।