চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলে রবিবার গভীর রাতে এসএসকেএমে চড়াও হয়েছিলেন রোগীর পরিজনরা। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগও ওঠে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার এ নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসকেএম হাসপাতালে পুলিশের পার্মানেন্ট ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও এই ঘটনা ঘটায় তিনি বলেন, ‘যখন ওরা এল, বডি নিয়ে চলে গেল, তখন তোমরা (পুলিশ) চলে গেলে কেন? ওখানে তো পার্মানেন্ট ক্যাম্প করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং তোমাদের তরফেও গাফিলতি আছে।’
সোমবার দিল্লীর উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, ‘আমি সকালেই ঘটনাটা হ্যান্ডেল করে দিয়েছি। তখন দুইজন মাত্র জুনিয়র ডাক্তার ছিল। কোনও সিনিয়র ডাক্তার ছিল না। ঘটনাটি চার-পাঁচদিন আগের একটি অ্যাক্সিডেন্ট কেস। যাই হোক, একজন তরুণ ছেলে মারা গেলে, মানুষের তো দুঃখ হয়। কিন্তু তাঁদের এটা করা উচিত নয়।’ হাসপাতালের চিকিৎসকরা যে ওই রোগীর প্রাণ বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন, সেই কথাও বলেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘চিকিৎসকরা তাঁদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। আমাদের ট্রমা সেন্টারে অন্যতম সেরা। চিকিৎসকরা চার-পাঁচ দিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন।’
হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারেও হামলার আঁচ পড়ায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাতের বেলা মারা গিয়েছে বলে ওরা হঠাৎ ঢুকে গিয়েছে। আমি কত কষ্ট করে, কত টাকা খরচ করে এই ট্রমা সেন্টার করেছি। দুইজন জুনিয়র ডাক্তারকে ওরা হেনস্থা করেছে। কোনও সিনিয়র ডাক্তার তখন ছিলেন না। আমি পিজির সুপারকে ফোন করে চিকিৎসকদের জন্য সরি বলেছি।’ জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জুনিয়র চিকিৎসকদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা আমাদের সরকার দেবে। আমি সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি, আমি মনে করি রাতেও সিনিয়র ডাক্তারদের থাকা উচিত।’