রাত পেরিয়ে সকাল। পূর্ব মেদিনীপুরের দুই সাংগঠনিক জেলার নেতা-কর্মীদের পায়ে পায়ে ধুলো উড়ছে। মঞ্চ দেখেই চোখ পড়ছে মাঠে। সকলের আফসোস, আজকের সভার জন্য মাঠ ছোট পড়বে। শনিবার এই মাঠেই বিপুল জমায়েতের মধ্যে সভা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সভার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখতে শুক্রবার দিনভর দফায় দফায় মাঠে যায় জেলা নেতৃত্ব। ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ মাইতি, তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র, মন্ত্রী অখিল গিরি, হলদিয়া ডেভলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর, কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরিরা। বিকেলে পৌঁছন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। সভার প্রস্তুতির চূড়ান্ত রূপ দেখে নেওয়ার ঘণ্টাকয়েকের সেই পর্বের মধ্যেই ধরা পড়ল জেলা নেতৃত্বের অটুট চেহারা।
অভিষেকের সভাকে কেন্দ্র করে যা একেবারে জমাট আকার নিয়েছে। কুণাল আজকের সভা প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কাঁথি একটি ঐতিহ্যশালী শহর। তৃণমূলের প্রতীকে জেতা সাংসদ থেকে শুরু করে চারিদিকে দীর্ঘদিনের তৃণমূল পরিবার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা নিয়ে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। সর্বস্তরের তৃণমূল কর্মীরা আসবেন।’’ অভিষেকের সভা ঘিরে একেবারে সাজ-সাজ রব। প্রভাতকুমার কলেজ মাঠ কাঁথি শহরের সবথেকে বড় মাঠ। এর আগে অভিষেকের সভা হয়েছিল কাছের ধানখেত লাগোয়া মাঠে। সে মাঠ এই নবান্নে ধানে ভরে উঠেছে। সেই কারণেই এই মাঠ বেছে নেওয়া। যা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে। শুভেন্দু মামলা করেছিলেন তাঁর বাড়ির সামনে এমন সভা তাঁর পরিবারকে বিব্রত করার জন্য। কোর্ট সেসব খারিজ করে বলে দিয়েছে, সভা করার অধিকার সকলের আছে।