আরে বেশি দেরি নেই। আগামী বছরই বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। ইতিমধ্যেই জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। জেলায় জেলায় উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে হাজির হচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা। সারা বছর মানুষকে কেমন পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, সেটা তুলে ধরছেন তাঁরা। একইসঙ্গে মোদী সরকারের বঞ্চনার জেরে উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামার তোড়জোড় করছে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। এই নিয়ে দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র। এদিন শিলিগুড়িতে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক দলের কর্মসূচি নিয়ে বলেন, “আধার কার্ড ও প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে চা-শ্রমিকদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতা এবং বৈষম্য করা হচ্ছে। এছাড়াও আরও বেশকিছু দাবি রয়েছে শ্রমিকদের। চা-শ্রমিকদের ওই ন্যায্য দাবি আদায়ে এবার উত্তরবঙ্গের প্রতিটি বাগানে টানা আন্দোলনে নামতে চলেছে শ্রমিক সংগঠন। আগামী ৯ থেকে ১৩ই ডিসেম্বর আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলার চা-বাগানগুলিতে আন্দোলন কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে।”
পাশাপাশি, এদিন উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব এবং আইএনটিটিইউসি’র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই দার্জিলিং ও আলিপুরদুয়ার জেলা সফরে এসে চা-বাগানে গিয়ে শ্রমিকদের সমস্যা, অভাব অভিযোগ শুনেছেন মন্ত্রী। বেশ কয়েকটি চা-বাগানের শ্রমিকদের হাতে পরিচয়পত্র তুলে দেন। এরপর মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “চা-বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে মূলত দু’টি সমস্যার কথা উঠে এসেছে। এক, প্রভিডেন্ট ফান্ড। দুই, আধার কার্ড। এই দু’টি দফতরই কেন্দ্রীয় সরকারের। রাজ্যের পক্ষ থেকে একাধিকবার চিঠি দিয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার কোনও সাড়া দেয়নি তাতে। তাই এবার তৃণমূলে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা চা শ্রমিকদের দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামছি।” এই সম্পূর্ণ কর্মসূচী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা নিয়ে আইএনটিটিইউসি’র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগামী ৯ ডিসেম্বর থেকে ১৩ই ডিসেম্বর পর্যন্ত আন্দোলন হবে। চা-বাগানগুলিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায় আলাদা করে মিছিল ও আন্দোলন চলবে।” ১৩ই ডিসেম্বর জলপাইগুড়িতে প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিসে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।