রথ দেখা আর কলা বেচা। বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখতে কাতারে গিয়ে ভারতীয় চায়ের প্রচার চালালেন এক ক্ষুদ্র চা চাষি। তথ্য বলছে প্রতিবছর গড়ে ১২০ কোটি কেজি চা উৎপাদন করে ভারত। এর মধ্যে ৪০ কোটি কেজি চা উৎপাদন হয় তরাই ডুয়ার্সের চা বাগানে। ক্ষুদ্র চা চাষি সংগঠনের দাবি, এই ৪০ কোটি কেজি চায়ের মধ্যে ২৫ কোটি কেজি চা উৎপাদন করেন ক্ষুদ্র চা চাষিরা। এবার এই চায়ের জন্য একেবারে বিশ্বকাপের আসরে প্রচার করলেন ক্ষুদ্র চা চাষি সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি বিজয় গোপাল চক্রবর্তী। মরু শহরে তাঁর প্রচারে ব্যাপক সাড়াও মিলছে বলে জানিয়েছেন গোপালবাবু।
গত শনিবার কাতারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজয় গোপাল চক্রবর্তী। আগামী শনিবার ফেরার কথা তাঁর। মাঝে এই কটা দিন খেলা দেখার পাশাপাশি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে চালিয়ে যাচ্ছেন চায়ের প্রচার। তিনি জানান, ছেলেবেলা থেকেই বেদুইনের দেশের প্রতি আকর্ষন ছিল তাঁর। সুযোগ করে দিল বিশ্বকাপ ফুটবল। প্রিয় দল আর্জেন্টিনার খেলা দেখবেন বলে ছ’মাস আগে থেকে বন্ধুদের সঙ্গে বসে পরিকল্পনা করেন। কাতার বনাম হল্যান্ড, আর্জেন্টিনা বনাম পোলান্ড ম্যাচের টিকিট হাতে পেয়েই কাতার ছোটেন। তিনি আরও জানান, ঝা চকচকে ছবির মতো দেশ। সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা। ফুটবল উন্মাদনা কাকে বলে তা কাতারে না গেলে বুঝতেই পারতেন না।
অল আক্রাহ ফিফা ফ্যান ভিলেজে রয়েছেন তিনি। সেখানে বিভিন্ন দেশের ফুটবল প্রেমীরাও এসেছেন। সেখান থেকেই শুরু করেছেন নিজের দেশের চায়ের প্রচার। গায়ে ‘ইন্ডিয়া টি, ওয়ার্ল্ড গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড’ লেখা টিশার্ট পড়ে ভারতীয় চায়ের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বিজয়বাবু। এদিকে ভারতীয় চায়ের কদর রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ইরাক,ইরান,সংযুক্ত আরব আমির শাহি, রাশিয়া, ইউক্রেনে ভারতীয় চায়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এক সময় পাকিস্তানও ভারত থেকে চা আমদানি করত। বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে।