বিজেপি নেতাদের পাল্টি খেতে দেখা যায়। জনতাকে জুমলা দেওয়ায় তাদের জুড়ি মেলা ভার। আর এবার চাপের মুখে ভোলবদল করলেন শুভেন্দু অধিকারীও! গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাজ্যের বিরোধী নেতা বলেছিলেন বড়দের তো প্রণাম করতেই হয়। মঙ্গলবার নিজের ঘরে সেই তিনিই বললেন, ‘আমি প্রণাম করিনি।’ প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে প্রণামের বিষয়টি নিয়ে কোনও কথা না বললেও নিজের ঘরে তাঁর দাবি, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করেননি। এটা ভুল খবর। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দলে ক্ষোভের মুখে পড়েই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করেননি বলে এখন দাবি করছেন বিরোধী দলনেতা।
বিষয়টি নিয়ে দলের কর্মীদের মধ্যে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে তা সোমবারই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠক চিঠি দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষকে। সৌজন্য সাক্ষাৎ হতেই পারে কিন্তু বিরোধী দলনেতা সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। এটা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য রাজকমল পাঠক। তাঁর এই চিঠি প্রসঙ্গে শুভেন্দু প্রথমে কিছু বলবেন না বলে অস্বস্তি এড়াতে গিয়েও পরে শুভেন্দুর জবাব, ‘রাজকমল পাঠক ভবিষ্যতে তৃণমূলের বড় কোনও নেতাকে হারিয়ে নিজেকে পার্টির একনিষ্ঠ নেতা প্রমাণ করবেন এই আশাটা রাখব।’ নিজের এই বক্তব্যে শুভেন্দু দলের রাজ্য নেতাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।