দাপটের সাথেই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের অভিযানে ইতি টানলেন হ্যারি কেনরা। গ্রুপ বি-র শীর্ষে থেকে শেষ ষোলোর টিকিট পাকা করে ফেলল ইংল্যান্ড। বুধবার রাতে ওয়েলসকে হেলায় হারিয়ে বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিল ইংরেজরা। ৩-০ গোলে ওয়েলসকে হারিয়ে দিল ইংল্যান্ড। অন্য দিকে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া হল না ইরানের। এ বারের বিশ্বকাপে এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে শেষ ষোলোয় যাওয়ার সুযোগ ছিল তাদের কাছে। কিন্তু আমেরিকার ফুটবলারদের কাছে পরাজিত হয়ে সেই স্বপ্ন ভেঙে গেল। ১-০ গোলে ইরানকে হারিয়ে গ্রুপ বি-র দ্বিতীয় দল হিসাবে পরের রাউন্ডে গেল আমেরিকা।
এদিন ওয়েলসের বিরুদ্ধে খেলার শুরু থেকে দাপট দেখানো শুরু করলেন ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা। প্রথমার্ধে গোল না এলেও বার বার ওয়েলসের বক্সে আক্রমণ করল ইংল্যান্ড। গোল করার কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন মার্কাস র্যাশফোর্ড। কোনও রকমে বাঁচান ওয়েলসের গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধে দু’মিনিটের ঝড়ে ভেঙে পড়ল ওয়েলসের রক্ষণ। ৫০ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের দুরন্ত ফ্রিকিকে নিজের ও দলের প্রথম গোল করলেন র্যাশফোর্ড। এ বারের বিশ্বকাপে সরাসরি ফ্রিকিক থেকে প্রথম গোল এল। পরের মিনিটেই হ্যারি কেন-র্যাশফোর্ড যুগলবন্দিতে বক্সে বল পেলেন ফিল ফডেন। গোল করতে ভুল করেননি তিনি। ৬৮ মিনিটের মাথায় একক দক্ষতায় নিজের দ্বিতীয় গোল করেন র্যাশফোর্ড। সেখান থেকে আর ফেরা সম্ভব ছিল না ওয়েলসের। হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। ৩ ম্যাচ ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে শেষ করল ইংরেজরা।
পাশাপাশি, বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় যেতে হলে আমেরিকার বিরুদ্ধে ড্র করলেই হত ইরানকে। সেই কারণেই হয়তো প্রথম থেকে একটু রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলছিল ইরান। তারই ফায়দা তুলল মার্কিনিরা। প্রথম দু’ম্যাচের তুলনায় এই ম্যাচে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করে আমেরিকা। বার বার ইরানের বক্সে প়ৌঁছে যাচ্ছিলেন ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ, জশ সার্জেন্টরা। ৩৪ মিনিটের মাথায় ভাঙল ইরানের রক্ষণ। গোল করলেন পুলিসিচ। গোল খাওয়ার পরে কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে ইরান। দলের বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করেন ইরানের কোচ কার্লোস কুইরোজ়। গোটা দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে চলে আক্রমণ প্রতি-আক্রমণের খেলা। শেষ দিকে গোল করার অনেক চেষ্টা করে ইরান। কিন্তু আমেরিকার গোলের মুখ খুলতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ০-১ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হল ইরানকে। ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসাবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছল আমেরিকা। সেই লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে তারা। আর ইংল্যান্ড খেলবে সেনেগালের বিরুদ্ধে।