মঙ্গলবার সরকারি অনুষ্ঠান প্রদানের মঞ্চ থেকেই প্রশাসনের আধিকারিকদের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। হিঙ্গলগঞ্জের শামসেরনগরে সরকারি অনুষ্ঠান প্রদান পরিষেবা অনুষ্ঠানে শীতবস্ত্র দেওয়ার কথা থাকলেও কেন তা আনা হল না, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, শীতবস্ত্র না আসা পর্যন্ত ১৮ মিনিট মঞ্চেই অপেক্ষা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভৎর্সনার মুখে পড়তে হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জেলাশাসককে। যদিও শেষমেষ এক হাজার শীত বস্ত্র আনা হলেও শামসেরনগরে ক্যাম্প করে শীতবস্ত্র দেওয়া হবে বলে মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন। বুধবার তার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।
এদিন বেলা ১২টা থেকেই ক্যাম্প করে শীত বস্ত্র দেওয়া হবে। অন্যদিকে আজ, বুধবার টাকিতেই থেকে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কলকাতায় ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও তাঁর সূচি বদল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, আজ বুধবার টাকিতে কোনও অনুষ্ঠান না থাকলেও কয়েকটি বৈঠক সেরে ফেলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার তিনি কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। একাংশের দাবি, বুধবার টাকি থেকেই নজরদারি করবেন শামশেরনগরের শীতবস্ত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া ঠিকঠাক হয়েছে নাকি। যদিও মঙ্গলবার তিনি মঞ্চ থেকেই জানিয়েছিলেন সঠিকভাবে এই শীতবস্ত্র গ্রামবাসীরা পাচ্ছেন কী না, তার জন্য তিনি নজরদারি চালাবেন।
মঙ্গলবার তিনি সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে বলেন ‘আমার এখানে আসার উদ্দেশ্য ছিল গ্রামবাসীদের শীতবস্ত্র দেওয়া। কিন্তু যে জিনিসটা আমি দেব সেটা যদি না দিতে পারি মানুষের কাছে তখন সেটা আমার ভাল লাগে না।’ মঙ্গলবার বক্তব্য রাখতে গিয়েই মাঝপথে তাঁর বক্তব্য থামিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই দীর্ঘ ১৮ মিনিট তিনি মঞ্চেই চুপচাপ করে বসে থাকেন। তারপর নিজের হাতেই গ্রামবাসীদের শীতবস্ত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।