এর আগে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবুও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখানো রোগীর কাছে থেকে নগদ টাকা নিল নিউটাউনের এক বেসরকারি হাসপাতাল! অভিযোগ, কোনও রকম রসিদ না দিয়েই নেওয়া হয়েছিল সেই টাকা। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ওই হাসপাতালকে রোগীর পরিবারের দেওয়া নগদ ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। পাশাপাশি আরও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে হাসপাতালের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। উক্ত রোগীর নাম উদয় বসু (৭৪)। উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। গত সেপ্টেম্বরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখিয়ে নিউ টাউনের এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সোমক ঘোষ। পরিবারের অভিযোগ, রোগীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড জমা নেওয়া সত্ত্বেও চিকিৎসার জন্য তাদের থেকে নগদ ৯৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়। সেই অর্থ নেওয়া হয়েছিল রসিদ ছাড়াই।
এমন ঘটনাকে ‘অদ্ভুত’ এবং ‘জালিয়াতি’ বলে অভিহিত করেছেন স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশন সূত্রে খবর, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় শয্যা না থাকার কারণে তারা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করেনি। রোগীর পরিবারের থেকে নগদ ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছে। পরে কমিশন স্বাস্থ্যসাথী দফতর থেকে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পারে যে, রোগীর চিকিৎসা বাবদ ১৯ হাজার ৮০০ টাকা ‘ক্লেম’ করে নিয়ে নিয়েছিল অভিযুক্ত হাসপাতাল। তার পর ডিক্লারেশন দিয়েছিল যে, ওই রোগী ক্যাশলেস পরিষেবার আওতায় ভর্তি হয়েছিলেন। এই নিয়েই কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘এটি প্রতারণা।’’ পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ আগে আসেনি। তাই কড়া পদক্ষেপ করা হয়নি। তবে চিকিৎসার জন্য নেওয়া ৪৫ হাজার টাকা ফেরত এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন। রোগীর পরিবার রসিদ ছাড়া নগদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার যে অভিযোগ করছে, তার কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। এই বিষয়টি নিয়ে বিধাননগর কমিশনারেটের কমিশনারের কাছে জানানো হয়েছে তদন্তের আর্জি।