হিঙ্গলগঞ্জের সভায় অন্তত ২০ মিনিট ভাষণ বন্ধ রেখে মঞ্চে বসে রইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সভার শুরুতেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, ‘এখানে শীতবস্ত্র দিতে এসেছিলাম, কিন্তু সেগুলো বিডিও অফিসে কেন।’ সভা থেকেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের তীব্র ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। শীতবস্ত্র না আসা পর্যন্ত সভাতেই বসে থাকবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ২০ মিনিট পরে মঞ্চে এসে পৌঁছায় শীতবস্ত্রগুলি। তখন ফের ভাষণ শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি আজ আসব বলে ১৫ হাজার শীতবস্ত্র কিনে এনেছি। তার মধ্যে ৫ হাজার সোয়েটার, ৫ হাজার কম্বল, ৫ হাজার চাদর, এটা যেন মানুষ ঠিকমতো পান। যদি না পান, আমি নিজেও নজর রাখব’।
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে থাকা প্রশাসনিক কর্তাদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘এগুলো কোথায়? ১৫ হাজার শীতবস্ত্র কোথায়? কেন বিডিও অফিসে থাকবে? বলুন বিডিওকে নিয়ে আসতে। আমি অপেক্ষা করব এখানে। জিনিস দিলে যদি ঠিকমতো সময়ে না পৌঁছায়, আমার খুব জ্বালা করে’।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ একটা অন্যায় করলে দোষটা পরে আমাদের ঘাড়ে। সরকার একটা অন্যায় করলে দোষ হয় আমার। অথচ, আমি কিছুই জানি না। আমি কত কষ্ট করে তিন দিন ধরে এখানে আসব বলে আমি কম্বল, চাদর কিনে এনেছি। কিন্তু এসে দেখছি কিছুই নেই’।
ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি তো বিডিও অফিসে রাখার জন্য পাঠাইনি। তোমার কাছ থেকে এটা আশা করিনি। আমি আর মিটিং করে কী করব। আমি তো ওটাই দিতে এসেছিলাম। তোমরা যদি এইটুকু অনুষ্ঠান ঠিকমতো না করতে পার, তাহলে তো প্রয়োজনই নেই। ডিএম, আইসিরা যদি ঠিকমতো কাজ না করেন, দায়িত্ব পালন না করেন। তাহলে আমি ব্যবস্থা নেব’।