শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনে মূল অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে হত্যার চেষ্টা। সোমবার সন্ধ্যায় পলিগ্রাফ টেস্ট করে জেলে ফেরার পথে তার উপর তরোয়াল নিয়ে চড়াও হন দুজন। যদিও আফতাবের গায়ে আঁচড়ও লাগেনি। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে গুলি ছোঁড়ে পুলিশ।
দিল্লির এফএসএল অফিসে পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আফতাবকে। সেখান থেকে বেরনোর সময় তরোয়াল হাতে দুই ব্যক্তি তার উপর হামলার চেষ্টা চালায়। হামলাকারীরা নিজেদের হিন্দু সেনার সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। যদিও আফতাবের কোনও চোট লাগেনি। তড়িঘড়ি তাকে প্রিজন ভ্যানে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রিজন ভ্যানের দরজা খুলে হামলার চেষ্টা চালায় তরোয়ালধারীরা। কিন্তু সফল হয়নি।
এদিন ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি বাইরে প্রিজন ভ্যানের সামনে একটি গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। আফতাব ল্যাবরেটরি থেকে বেরিয়ে আসতেই তার উপর চড়াও হয় তারা। সঙ্গে সঙ্গে আফতাবকে টেনে প্রিজন ভ্যানে ঢুকিয়ে দেয় পুলিশ। দুই হামলাকারীর নাম জানা গিয়েছে-নিগম গুজ্জর ও কুলদীপ ঠাকুর।
হামলাকারীদের দাবি, ‘আফতাব যেভাবে শ্রদ্ধাকে খুন করেছে তাতে ওর বেঁচে থাকার অধিকার নেই’। হামলাকারীদের আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। এদিকে হিন্দু সেনার সর্বভারতীয় সভাপতি বিষ্ণু গুপ্ত বলেন, ‘গোটা দেশ দেখেছে একটি হিন্দু মহিলাকে কীভাবে কেটে টুকরো টুকরো করা হয়েছে’।