বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না উত্তরপ্রদেশের। বরাবরই বিজেপিশাসিত এই রাজ্যে প্রশ্নের মুখে পড়েছে নারীসুরক্ষা ও নিরাপত্তা। হাথরস ও উন্নাও-এর মতো ঘটনার নৃশংসতার রেশ এখনও দগদগে মানুষের মনে। এবার এক নাবালিকাকে কেটে টুকরো টুকরো করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়েছিল নাবালিকা। আর সেই আক্রোশে এহেন হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুবকটি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, ১৭ বছরের নাবালিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় অভিযুক্ত। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় ১৭ বছরের ওই কিশোরী। তারপরই ওই কিশোরীকে অভিযুক্ত অভিযোগ দেয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, ওই অভিযুক্ত প্রতিদিন ওই নাবালিকাকে তার স্কুলের রাস্তায় অনুসরণ করত। তাকে হেনস্থাও করত। অভিযুক্তের নাম মহম্মদ ফইজ। অভিযোগ, সে যখন ওই নাবালিকাকে বার বার উত্যক্ত করতে থাকে, বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে, তখন অভিযুক্তের প্রস্তাবে রাজি হওয়ার বদলে তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় সেই নাবালিকা।
এরপরই প্রবল রাগে নাবালিকাকে কেটে টুকরো করে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত। বলে, “আমার সাথে যদি বিয়ে না হয়, তাহলে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলব।” নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত মহম্মদ ফইজ স্কুলের পথে তাদের মেয়েকে অনুসরণ করত। প্রতি নিয়ত তাকে হেনস্তা করত। পুলিশকে তারা এঘটনার কথা জানাও। মহম্মদ ফইজের কাউন্সেলিং করারও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ওই নাবালিকাকে উত্যক্ত করা বন্ধ করেনি ফইজ। এমতাবস্থায় উচ্চপদস্থ কর্তাদের দ্বারস্থ হয় ওই নাবালিকার পরিবার। মহম্মদ ফইজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। তাঁদের মেয়ের প্রাণের ঝুঁকির কথা জানায় পুলিশকে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে চমন গঞ্জে অভিযুক্ত মহম্মদ ফইজের বাড়িতে তল্লাশিতে যায় পুলিশ। ফইজ তখন বাড়িতেই ছিল। পুলিশ পৌঁছতেই তল্লাশিতে বাধা দেয় ফইজের পরিবার। পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদ বাধে। শেষপর্যন্ত অভিযুক্ত মহম্মদ ফইজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। রাজ্যে বারবার এমন ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে যোগী প্রশাসন। সমালোচনায় সরব হয়েছে একাধিক মহল।