২০০২ সালে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অপরাধেই ২০১৭ সালের ২৮ অগস্ট তাঁকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। পরে এক সাংবাদিককে খুন করার অপরাধে ২০১৯ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে প্যারোলে ৪০ দিনের জন্য তাঁকে জেলমুক্ত করেছিল হরিয়ানার বিজেপি সরকার। অবশেষে শুক্রবার ফের গরাদের ওপারে ফিরলেন রাম রহিম। তাঁর সঙ্গে নির্বাচনী রাজনীতির যোগ স্পষ্ট বলেই দাবি বিরোধীদের। কারণ শুক্রবারই শেষ হয়েছে সেরাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেদিনই জেলে ফিরলেন ধর্ষক ধর্মগুরু।
গত ১৪ অক্টোবর প্যারোলে মুক্তি পান রাম রহিম। সেই সময়ই বিরোধীরা সরব হয়েছিল তাঁর মুক্তির সময়কালের সঙ্গে নির্বাচনের ‘সংযোগ’ নিয়ে। হরিয়ানায় তিন দফার পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে এই সময়ের মধ্যেই। ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে যা শেষ হয়েছে ২৫ নভেম্বর। এছাড়াও মাসের গোড়ায় হয়েছিল আদমপুর বিধানসভা এলাকায় ছিল উপনির্বাচনও। আর এই সময়টায় জেলের বাইরেই ছিলেন ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান।
কেবল এবারই নয়। এর আগে গত জুনেও মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। সেই সময় হরিয়ানায় ৪৬টি পুরসভায় ছিল নির্বাচন। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে তিন সপ্তাহের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন রাম রহিম। সেই মুক্তিও ছিল পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই। এতবার নির্বাচনের আগে বা সময়ে তাঁর প্যারোলে মুক্তিকে কাকতালীয় বলে মানতে রাজি নন বিরোধীরা। তাছা়ড়া প্রশ্ন উঠছে তাঁর এত ঘনঘন মুক্তি পাওয়া নিয়েই। বিরোধীদের দাবি, যেখানে বহু আসামি তিন দশক ধরেও মুক্তি পান না, সেখানে রাম রহিমের ক্ষেত্রে এতবার প্যারোলে মুক্তির সিদ্ধান্ত কী করে নেওয়া হচ্ছে।