শেক্সপিয়ার বলেছিলেন, ‘নামে কী আসে যায়’। কিন্তু নাম পরিবর্তন করায় দেশের মধ্যে খুব ‘নাম’ করেছে গেরুয়া শিবির। মোদী জমানায় বারবারই নামবদলের রাজনীতির সাক্ষী থেকেছে দেশ। এবার মীরাটের নাম বদলে নাথুরাম গডসে নগর করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে দাবি করল হিন্দু মহাসভা।
তাদের দাবি, হিন্দু মহাসভার প্রার্থী যদি শহরের মেয়র নির্বাচিত হন, তাহলে প্রত্যেকটি জায়গার ইসলামি নাম বদলে দেওয়া হবে। হিন্দুদের স্বার্থে যাঁরা কাজ করেছেন, সেই মহারথীদের নামে জায়গার নামকরণ করা হবে। শুধু তাই নয়, ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এগোচ্ছে হিন্দু মহাসভা। বিজেপি ও শিব সেনাকে একহাত নিয়েছে হিন্দু মহাসভা। অন্য ধর্মের সদস্যের সংখ্যা বাড়ছে এই দুই দলে, তাই নিজেদের আদর্শ থেকে সরে যাচ্ছে তারা, এমনটাই মত হিন্দু মহাসভার।
আগামী ডিসেম্বরেই মীরাট-সহ উত্তরপ্রদেশের একাধিক শহরে কর্পোরেশন নির্বাচন হবে। মঙ্গলবার হিন্দু মহাসভার তরফে জানানো হয়েছে, এই নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাঁদের দলের প্রার্থীরা। সেই জন্য ‘দেশপ্রেমিক’ কর্মীদের খুঁজে বের করছে হিন্দু মহাসভা কর্তৃপক্ষ। তবে ভোটে দাঁড়াতে গেলে তাঁদের লিখিত ভাবে জানাতে হবে, সারাজীবন হিন্দু মহাসভার আদর্শ মেনে চলবেন। সদ্য মীরাটের দায়িত্ব পেয়েছেন হিন্দু মহাসভার কর্মী অভিষেক আগরওয়াল। মঙ্গলবারই পৌর নির্বাচনের জন্য দলের ইস্তেহার প্রকাশ করেছেন তিনি।
সেই দিনেই দলের জাতীয় স্তরের নেতা অশোক শর্মা বলেছেন, ‘যদি হিন্দু মহাসভার প্রার্থীরা বিপুল সংখ্যায় জিতে কর্পোরেশন দখল করে, তাহলে মীরাটের নাম পালটে ফেলা হবে। শহরের নতুন নাম রাখা হবে নাথুরাম গডসে নগর। ইসলামিক নামে যে জায়গাগুলির নাম রাখা হয়েছে, সেগুলিও পালটে ফেলা হবে। হিন্দু মহারথীদের নামে ওই জায়গাগুলির নাম রাখা হবে।’ হিন্দু মহাসভার ইস্তেহারে আরও বলা হয়েছে, ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলা হবে। দেশের সমস্ত জায়গায় যেন গো মাতাকে রক্ষা করা হয়, তাও নিশ্চিত করা হবে।