কাতার বিশ্বকাপ কি অঘটনেরই বিশ্বকাপ হতে চলেছে? গ্রুপ পর্বের ম্যাচে আর্জেন্টিনা ও জার্মানির অপ্রত্যাশিত ভরাডুবির পর এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ফুটবলমহলে। বুধবার রাতের বেলজিয়াম-কানাডা ম্যাচ শুরু হওয়ার পর তা আরও একবার উঁকি দিচ্ছিল ফুটবলপ্রেমীদের মনে। তবে বেলজিয়ামকে ক্রমাগত চাপে ফেললেও শেষমেশ মনমরা হয়েই মাঠ ছাড়তে হল কানাডাকে। ১-০ গোলে জিতলেন হ্যাজার্ড-ডে’ব্রুইনরা।
গোলের নীচে কার্যত কুম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বেলজিয়ামের গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া। তিনি পেনাল্টিটা না বাঁচালে ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত। ম্যাচের প্রথমার্ধে কানাডার আলফোনসো ডেভিসের পেনাল্টি থেকে মারা শট বাঁচান বেলজিয়ামের কুর্তোয়া। না হলে চাপে পড়তে পারত ২০১৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্টরা। এ বারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা, জার্মানির হার দেখা দর্শকরা বেলজিয়ামকে নিয়েও আশঙ্কা করছিলেন। সেই চিন্তা গোটা ম্যাচেই ছিল। ৪৪ মিনিটে বেলজিয়ামকে এগিয়ে দেন মিচি বাতশুয়াই। এদিন শুরু থেকেই দৌড় এবং আক্রমণে বেলজিয়ামকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন ডেভিসরা। দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে অবশ্য বেশির ভাগটাই ছিল কানাডার আক্রমণ। কিন্তু কুর্তোয়া ছিলেন অভেদ্য। তিনি থাকায় বেলজিয়ামের জয় পেতে সমস্যা হয়নি।
এদিন ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন কেভিন দ্য ব্রুইন। যা পেয়ে নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছেন বেলজিয়ামের মিডফিল্ডার। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না যে, আমি খুব ভাল খেলেছি। জানি না, কেন আমি এই ট্রফি পেলাম। বোধ হয় আমার নাম দ্য ব্রুইন বলে।” কানাডার কোচ জন হার্ডম্যান বলেন, “ছেলেরা প্রমাণ করে দিয়েছে যে, ওরা এই প্রতিযোগিতা খেলার যোগ্য।” বেলজিয়ামের কোচ রোবের্তো মার্টিনেজ বলেন, “ভাল লাগছে যে, নিজেদের সেরা খেলাটা না খেলেও ম্যাচ জিতেছি। আমরা জিতেছি, তা এটাকে খারাপ ম্যাচ বলা যাবে না।” গ্রুপ পর্বের পরবর্তী ম্যাচে মরক্কোর মুখোমুখি হবে বেলজিয়াম।