প্রায় এক মাস ব্যাপী চলছে ‘কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা’। এবার এই পদযাত্রায় পা মেলালেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ বানিয়েই জনসংযোগ কর্মসূচীতে নেমেছে কংগ্রেস। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর অবধি পদযাত্রা করে গোটা দেশে একতার বার্তা দেওয়াই ভারত জোড়ো যাত্রার মূল উদ্দেশ্য। এই যাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। গত সেপ্টেম্বরে কন্যাকুমারী থেকে শুরু হওয়া ভারত জোড়ো যাত্রা বুধবারই মহারাষ্ট্র থেকে মধ্য প্রদেশে প্রবেশ করে। আর তারপরই, এ দিন সকালেই মধ্যপ্রদেশে যান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। দাদা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পা মিলিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন তিনি। প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিতেই কংগ্রেসের তরফে গান্ধী ভাই-বোনের ছবি শেয়ার করা হয়। ছবির ক্যাপশনে হিন্দিতে লেখা, “আমাদের পদক্ষেপ আরও শক্তিশালী হবে যখন আমরা একসঙ্গে হাঁটব।” প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পাশাপাশি ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দেন কংগ্রেস নেতা তথা মধ্য প্রদেশের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ও দ্বিগিজয় সিংও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৭ই সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ভারত জোড়ো যাত্রার নেতৃত্বের দায়িত্বে রয়েছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের কর্মসূচীর শুরুতেই এই পদযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন দলনেত্রী তথা প্রাক্তন সভাপতি সনিয়া গান্ধী। এরপরে একাধিক রাজনীতিবিদ, অভিনেতা থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট মানুষেরাও এই যাত্রায় অংশ নেন। তবে এতদিন দেখা মেলেনি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। কংগ্রেসের কর্মসূচীতে গান্ধী পরিবারেরই এক সদস্য অনুপস্থিত থাকায় জল্পনা শুরু হয়েছিল রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বিরোধ নিয়ে। এদিন যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে দিয়েই ভারত জোড়ো যাত্রায় দাদা রাহুল গান্ধীর পাশে দেখা যায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। বুধবার ভারত জোড়ো যাত্রা মধ্য প্রদেশে প্রবেশ করতেই রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন, এই যাত্রার তিনটি প্রধান লক্ষ্য রয়েছে। প্রথমত, এই যাত্রা সমাজে যে ঘৃণা, হিংসা ও ভয় তৈরি হয়েছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই। দ্বিতীয়ত এটি বেকারত্বের বিরুদ্ধে। তৃতীয়ত, এটি মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে লড়াই বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।