ভারতের সংবিধান দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাঁধে বিপুল ক্ষমতা অর্পণ করে থাকে। ফলে ‘শক্তিশালী চরিত্রের কাউকে’ এই পদে নিয়োগ করার প্রয়োজন রয়েছে। যিনি এই কঠিন দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন। মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। বর্তমান উদ্বেগজনক রাজনৈতিক আবহে প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টি এন সেশনকে স্মরণ করল শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের বেঞ্চ।
সম্প্রতি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পদ্ধতির স্বচ্ছতা ও সংস্কার চেয়ে শীর্ষ আদালতে একটি মামলা হয়। তার শুনানি চলছে বিচারপতি কে এম জোসেফের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। মঙ্গলবার বিচারপতিদের সাংবিধানিক বেঞ্চ মন্তব্য করে, ‘পরিস্থিতি উদ্বেগজনক’। এই অবস্থায় টি এন সেশনের মতো ব্যক্তিত্ববান শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনরের প্রয়োজন রয়েছে। সেশন ১৯৯০ থেকে ১৯৯৬ সালের কার্যকালে একাধিক নির্বাচনী সংস্কার করে গিয়েছেন।
বিচারপতি অজয় রাস্তোগি, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু, বিচারপতি ঋষিকেশ রায় এবং বিচারপতি সি টি রবিকুমার দাবি করেন, ‘দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পদ্ধতি এমন হওয়া উচিত যাতে করে সেরা মানুষটাই এই পদে আসিন হয়’। বিচারপতিদের আক্ষেপ, ভারতীয় গণতন্ত্রের ৭৫ বছরের ইতিহাসে একাধিক মানুষ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হয়েছেন, কিন্তু টি এন সেশনের মতো ব্যক্তিত্বকে একবারই পেয়েছে দেশ। “আমরা চাই না কেউ এই পদটির উপর কর্তৃত্ব চলুক। তিনটে মানুষের উপর বিরাট দায়িত্ব থাকে। মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার ও তাঁর দুই সহযোগী। ফলে সেরা লোকটাকেই প্রয়োজন এই গুরুত্বপূর্ণ পদে’। শুনানিতে সরকারের আইনজীবী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারও চায় এই পদে যোগ্য ব্যক্তি নিয়োগ হোক। প্রশ্ন হল, তার পদ্ধতি কী হওয়া উচিত।