আবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ফুটবল বিশ্বকাপ। এককথায়, নিষেধাজ্ঞার অন্ত নেই! এবারে রাস্তায় সমর্থকদের গান গাওয়ায় বারণ জারি করেছে সে দেশের পুলিশ। স্থানীয়দের আপত্তির পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক সমর্থকের পোশাক নিয়েও আপত্তি করেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, সেই সব পোশাক কাতারের জনগণের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করছে। ইতিমধ্যেই সমকামী সম্পর্কের সমর্থন করায় বেশ কিছু দর্শককে স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে তুঙ্গে বিতর্কের ঝড়। কাতার পুলিশ প্রথম নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইকুয়েডরের সমর্থকদের উপর। উদ্বোধনী ম্যাচে কাতারকে ২-০ গোলে হারানোর পরে রাস্তায় গান গাইতে গাইতে যাচ্ছিলেন ইকুয়েডরের সমর্থকরা। প্রচণ্ড জোরে গান গাওয়ায় শব্দদূষণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের হস্তক্ষেপ চান তাঁরা। তার পরেই পুলিশ ইকুয়েডরের সমর্থকদের গান গাইতে নিষেধ করে। একই ঘটনা ঘটেছে ইংল্যান্ডের সমর্থকদের সঙ্গে। তাঁদেরও রাস্তায় গান গাইতে নিষেধ করেছে পুলিশ। নির্দেশ না মানলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
স্বাভাবিকভাবেই এই সিদ্ধান্তে প্রবল ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রিয় দল জিতলে আনন্দ করার অধিকার সবার রয়েছে। স্টেডিয়াম থেকে সেই আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে রাস্তায়। জোর করে সেটা বন্ধ করা যায় না। এই ভাবে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে কাতার নিজেদের ক্ষতি করছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। স্টেডিয়ামে নানা রকমের পোশাক পরে খেলা দেখতে যান সমর্থকরা। কিছু কিছু পোশাকে আপত্তি করেছেন দোহার বাসিন্দারা। তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন, এই সব পোশাক সে দেশের সংস্কৃতিকে অপমান করছে। যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই প্রসঙ্গে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। উল্লেখ্য, কাতারে সমকামী সম্পর্ক অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। তাই বিশ্বকাপের আগে অনেক সমর্থক দাবি করেছিলেন, প্রতিযোগিতা চলাকালীন সমকামী সম্পর্কের সমর্থনে প্রচার চালাবেন তাঁরা। তাই বিশেষ পোশাক পরে এসেছিলেন। কিন্তু সেই বিশেষ পোশাক পরা কাউকে স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এই বিষয় নিয়েও চরমে উঠেছে শোরগোল। নিন্দায় সরব হয়েছে একাধিক মহল।