আচমকাই খানিক মনমরা হয়ে হয়ে পড়েছিলেন ফ্রান্স সর্মথকরা। ফরাসি রক্ষণকে চমকে দিয়ে ততক্ষণে গোল করে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে দিয়েছেন ক্রেগ গুডউইন। প্রশ্ন উঠছিল, ফ্রান্সের অবস্থাও স্পেন, জার্মানির মতো হবে না তো? আগের বার বিশ্বকাপ জিতে পরের বার প্রথম রাউন্ডে বিদায়! ফ্রান্স নিজেও একবার এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিল। যদিও এদিন শেষ হাসি হাসল তারাই। ২৭ মিনিটেই গোল শোধ করে দেয় ফরাসীরা। বাঁ দিক থেকে ক্রস করেছিলেন থিয়ো হের্নান্দেস। উড়ে গিয়ে হেডে গোল করেন আন্দ্রে রাবিওর। পাঁচ মিনিট পরে আবার গোল। এ বার গোলদাতা অলিভিয়ের জিরু। বাঁ দিক থেকে রাবিও তাঁকে পাস দেন বক্সের মাঝখানে। অরক্ষিত অবস্থায় ছিলেন জিরু। ফাঁকা গোলে বল জড়াতে অসুবিধা হয়নি তাঁর।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার আগে সবার নজর ছিল এক জনের দিকেই। তিনি কিলিয়ান এমবাপে। গত বিশ্বকাপে আবির্ভাবেই চমকে দিয়েছিলেন। এবারও চেনা ছন্দেই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। ৬৮ মিনিটের মাথায় ডান দিক থেকে বল ভাসিয়েছিলেন ওসমানে দেম্বেলে। লাফিয়ে হেডে গোল করলেন এমবাপে। তিন মিনিট পরে গোল করালেনও তিনি। অসাধারণ সোলো রানে বল ভাসিয়েছিলেন বক্সে। হেডে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোল করলেন জিরু। গড়ে ফেললেন নতুন নজিরও। ফ্রান্সের হয়ে যুগ্ম সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন তিনি ৫১ গোল করে ছুঁয়ে ফেললেন থিয়েরি অঁরিকে। গ্রুপ পর্বের পরের ম্যাচে ডেনমার্কের মুখোমুখি হবে ফ্রান্স।
