ফের বড়সড় বিতর্কের মুখে পড়ল বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশ। এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবাই নেই, অথচ বিদ্যুতের বিল এসেছে যোগীরাজ্যের ১২টি গ্রামে! কারও বিলের অঙ্ক ৩০ হাজার টাকা তো কারও আবার ৬০ হাজার টাকা। এমন কাণ্ড দেখে হতবাক ওই বারোটি গ্রামের বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলার বারোটি গ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই। অথচ কয়েক হাজার টাকার বিদ্যুতের বিল এসেছে বলে দাবি করেছেন গ্রামবাসীরা। ওই গ্রামগুলির বাসিন্দাদের দাবি, কয়েক বছর আগে তাঁদের বাড়িতে বিদ্যুতের মিটার বসানো হয়েছিল। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা মেলেনি। এমনকী, বিদ্যুতের মিটার বসানোর জন্য টাকাও লাগবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতিই সার। কাজের কাজ হয়নি।
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে বিদ্যুতের বিল এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই গ্রামবাসীরা। এই বিল নিয়ে তাঁরা কী করবেন, সে ব্যাপারেও শঙ্কার মেঘ ঘনিয়েছে তাঁদের মনে। যে গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা ছাড়াই বিল এসেছে, সেই গ্রামগুলির মধ্যে অন্যতম খোকসা। ওই গ্রামে আড়াইশো মানুষের বাস। সরোজ দেবী নামে ওই গ্রামের এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘‘তিন বছর আগে আমাদের বাড়িতে ৪টি মিটার বসানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল যে, এ জন্য টাকা লাগবে না। শীঘ্রই বিদ্যুৎ পরিষেবা পাওয়া যাবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।’’ বিদ্যুতের বিল প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, গত সপ্তাহে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা বাড়িতে এসে মিটার পিছু ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা করে বিল দিয়েছেন। এত টাকা কী ভাবে জোগাড় করে বিল মেটাবেন তাঁরা, এ নিয়ে মাথায় হাত ওই বাসিন্দাদের। অন্য একটি গ্রাম আলাউদ্দিনপুরের ছবিটাও একই। সেখানকার কোনও কোনও বাসিন্দার বিদ্যুতের বিলের অঙ্ক ৪০ হাজার টাকা। ঘটনাটি ঘিরে স্বভাবতই শুরু হয়েছে তোলপাড়। যোগী সরকারের নিন্দায় সরব হয়েছে একাধিক মহল।