অনেকাংশেই ঝিমোনো হয়ে রইল সোমবারের নেদারল্যান্ডস বনাম সেনেগালের ম্যাচ। যদিও শেষপর্যন্ত নেদারল্যান্ডস জিতল ২-০ গোলে। তবে সারা ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্স সেভাবে নজর কাড়েনি। এদিন অদ্ভুত ফাউল করে বসলেন ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি দি জং। তাঁর ফাউলের জেরে বিপক্ষের খেলোয়াড়কে মাঠ ছাড়তে হল। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে সতীর্থের ভাসানো একটি বলে হেড করতে উঠেছিলেন সেনেগালের চিখু কৌয়াতে। তাঁকে আটকাতে গিয়ে নিম্নাঙ্গে আঘাত করে বসেন জং। মাঠে পড়ে গিয়ে ছটফট করতে থাকেন কৌয়াতে। মাঠেই কিছু ক্ষণ ধরে শুশ্রূষা চলার পর শেষ পর্যন্ত তাঁকে তুলে নেওয়া হয়। তবে ফ্রেঙ্কির এই কাণ্ডের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। উঠেছে বিতর্কের ঝড়ও। এদিন প্রথম থেকে আক্রমণ করতে থাকলেও নেদারল্যান্ডসের কোনও সুযোগই দানা বাঁধছিল না। মাঝে মাঝেই গতি বাড়িয়ে প্রতি আক্রমণ তুলে এনে খেলা জমিয়ে দিচ্ছিল সেনেগাল। ১৭ মিনিটে দালে ব্লিন্দের একটি হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। দু’মিনিট পরেই ভাল সুযোগ পেয়েছিলেন দে জং। সামনে একা সেনেগালের গোলকিপার এদুয়ার্দ মেন্দিকে পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর শট ক্লিয়ার করে দেন দিয়ালো।
এরপর সেনেগালেয উইঙ্গার ইসমাইলা সারের একটি শট দারুণ ভাবে হেড করে গোল বাঁচান ডাচ অধিনায়ক ভার্জিল ফান ডাইক। এদিনের ম্যাচে দু’দলের মধ্যেই বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল। কিন্তু কারওর তরফেই দর্শনীয় কোনও শট বা পাস দেখা গেল না। সেনেগাল বরং বল ওড়ানোর দিকে নজর দিয়েছিল বেশি। ৭৩ মিনিটে ইদ্রিসা গুয়ের একটি শট বাঁচান নেদারল্যান্ডসের গোলকিপার নোপার্ট। নেদারল্যান্ডস জয়সূচক গোল পায় খেলা শেষের ৬ মিনিট আগে। সেনেগালের বক্সে লম্বা বল ভাসিয়েছিলেন দে জং। সবার উপরে লাফিয়ে উঠে হেড করেন কোডি গাকপো। বিপক্ষ গোলকিপার এগিয়ে থাকায় বলের নাগাল পাননি। অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষ দিকে গোল করেন ডেভি ক্লাসেন। মেম্ফিস দেপাই শট নিয়েছিলেন। মেন্দি তা প্রতিহত করলে বল যায় ক্লাসেনের কাছে। ফাঁকা গোলে বল ঠেলে দিতে কোনও ভুল করেননি তিনি। গ্রপ পর্বের পরের ম্যাচে ইকুয়েডরের মুখোমুখি হবে ডাচরা। আর সেনেগাল খেলবে কাতারের বিরুদ্ধে।