বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। আগামী বছরই পঞ্চায়েত নির্বাচন বাংলায়। ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। আজ, মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশন শেষে তৃণমূল বিধায়কদের নিয়ে নৌসার আলি কক্ষে একটি বৈঠক হয়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। এ ছাড়াও বৈঠকে নেতৃত্ব দেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ও উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায় প্রমুখ। বৈঠকে বিধায়কদের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে রুখতে অহিংসারপথ অবলম্বন করা নির্দেশ দেন বক্তারা। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে যে কোনও ধরনের লড়াইয়ে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পথ অবলম্বন করতে বলেন তাঁরা।
এপ্রসঙ্গে বাংলার রাজনীতির কারবারিরা মনে করছেন, বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের দিয়েই নিচু তলায় বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল যে কোনওভাবেই অশান্তি বরদাস্ত করবে না। সেই বার্তাই এ দিনের বৈঠক থেকে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বসিরহাটের ঘটনা নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার এক বিধায়কের সঙ্গে এক মন্ত্রীর বৈঠক শেষে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকের প্রতিটি বার্তা ওই বিধায়ককে বসিরহাট অঞ্চলের দলীয় সব প্রতিনিধিদের কাছে পৌঁছে দিতে বলেছেন ওই মন্ত্রী। এদিনের বৈঠক শেষে এক তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, দল কোনওভাবেই চাইছে না নিচু তলার কর্মীরা কোনও রকম সহিংস পথে বিরোধীদের মোকাবিলা করুন। কিছু ক্ষেত্রে তো নিজেদের মধ্যেও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। তাই জনপ্রতিনিধিদের মারফত দল নিজেদের কথা কর্মীদের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছে বলেই জানিয়েছেন সেই বিধায়ক।