ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার প্রতি দুয়োরানিসুলভ আচরণ অব্যাহত রেখেছে মোদী সরকার। বরাবরই বঞ্চনার খাতায় থেকে গিয়েছে বাংলা। একশো দিনের কাজ-সহ একাধিক ক্ষেত্রে বরাদ্দ টাকা আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এবার সরব হলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জিএসটি, কর-সহ নানান বিষয়ে তোপ দাগলেন তিনি। প্রশ্ন তুললেন, “বিরোধী দলনেতা দু’দিন আগে টাকা আটকানোর মন্তব্য করলেন। স্টিকার পলিটিক্সের কথা বললেন। আমার ও বাংলার মানুষের কাছে প্রধানমন্ত্রীর নামটা গুরুত্বপূর্ণ না বাংলার গুরুত্বপূর্ণ?” এখানেই থেমে থাকেননি ফিরহাদ। “বাংলাকে যে স্কিমে টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেটা আসলে বাংলার মানুষের করের টাকা। গুজরাতের টাকা দিচ্ছে না। ৪৪,৬৩৮ কোটি টাকা ২০১৮-১৯ সালে কেন্দ্র নিয়ে গেছে। এই টাকার একটা অংশ তিনি দিচ্ছেন। আমাদের করদাতা ৫৬ হাজার কোটির কাছাকাছি। এছাড়া এক্সাইজ, সেস, কাস্টমস ডিউটি আছে। কয়েক লক্ষ কোটি টাকা এরা নিয়ে যান”, বক্তব্য তাঁর।
পাশাপাশি, ফিরহাদ এদিন জানান, “জিএসটি ৫০,১৭৪ কোটি শুধু এই বছর নিয়ে গেছে। আমাদের টাকা তারপরেও দিচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, আরবানে কেন্দ্র দেয় ৪৩%। ৫৭% টাকা বাংলার মানুষ দেয়৷ আমি ৪৩% টাকার জন্য কেন্দ্রের নাম দেব? আসলে ওরা বাংলা ভাগে বিশ্বাস করে। গ্রামীণ এলাকায় ওরা ৪০% দেয়, আমরা ৬০%। কলকাতা শহরে মাত্র ২৫% দেয়। আমরা ৭৫% দিই। স্বচ্ছ ভারত মিশনে আমরাও ৫০% দিচ্ছি। তাহলে তোমার নাম রাখব, আমার নাম কেন রাখব না? সবটাই বাংলার টাকা।” কড়া ভাষায় মোদী সরকারকে একহাত নেন তিনি। “তুমি তো আলাদা ফান্ড দিচ্ছো না। জল জীবন মিশনে জমিতেও ৫০% টাকা দিই। গ্রামীণ সড়ক যোজনায় জমি ও টাকা দিচ্ছি। এভাবে টাকা আটকানো যায় না। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী টাকা দিতে হবে। আপনি আমাকে টাইট নয়, টাইট দিচ্ছেন গ্রামের মজদুরকে। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষকে। মস্তানি করে, চিৎকার করে রাজনীতি হয় না”, জানিয়েছেন ফিরহাদ।