নির্ধারিত হয়ে গেল দিনক্ষণ। আগামী ২৩শে নভেম্বর শপথগ্রহণ করবেন বাংলার নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তবে কখন হবে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান, তা এখনও জানা যায়নি। সূত্রের খবর, শপথ নেওয়ার দিন হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে ২১ অথবা ২৩শে নভেম্বর প্রস্তাব করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৩ তারিখটি বেছে নিলেন নয়া রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে সঙ্গে ফোনালাপের পরই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বাংলার নতুন রাজ্যপাল হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। পরের দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন পেয়ে আপ্লুত রাজ্যপাল। “মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে খুবই ভালভাবে এবং ডিগনিফায়েডভাবে কথা বলেছেন। আমাদের দু’জনের মধ্যে অনেক কথা হয়েছে। যেটা আমি প্রকাশ করতে পারব না। আমি খুবই খুশি যে তিনি এই ফোন করার উদ্যোগটা নিয়েছেন। আমাদের দু’জনের মধ্যে খুবই সুমধুর কথাবার্তা হয়েছে”, জানান তিনি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তাঁর পূর্বসূরি বর্তমান উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরের সঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের যে অহি-নকুল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা গড়িয়েছিল তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ পর্যন্ত। সরাসরি কোবিন্দের কাছে ধনকরকে রাজ্যপাল পদ থেকে সরানোর আবেদন করেছিলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দাবিতে সংসদেও সরব হয়েছিল তৃণমূল। এরপর আচমকাই ধনকরকে দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন তিনি। ফলে বাংলার রাজ্যপাল পদ শূন্য হয়। অস্থায়ীভাবে এই পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল লা গণেশন। তাঁর সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। লা গণেশনের পারিবারিক অনুষ্ঠানেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু লা গণেশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল বঙ্গ গেরুয়াশিবির। তারপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নতুন স্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে সি ভি আনন্দ বোসের নাম ঘোষণা করে।