একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন বিস্তার করে দলকে সর্বভারতীয় স্তরে মেলে ধরার চেষ্টা। আর সেই লক্ষ্যেই মেঘালয়ে বাড়তি নজর দিয়েছে বাংলার শাসক দল। এবার দুদিনের মেঘালয় সফরে গিয়ে তুরার জনসভা থেকে বিজেপি সরকারকে নিশানা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে সুর চড়ালেন এনআরসি ইস্যুতেও।
এদিন বিজেপিতে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, ‘এনআরসি হতে দেব না। মেঘালয়ের মানুষকে বোঝাতে হবে তাঁরা এখানকারই বাসিন্দা। আমরা আসামেও এর প্রতিবাদ করেছিলাম। আমাদের প্রতীকে ফুলের তিনটি পাপড়ি, কারণ একটা খাসি, একটা গারো, একটি জয়ন্তীয়া।’ তিনি আরও বলেন, ‘বছরের পর বছর দেখেছি, পূর্ব আর উত্তর-পূর্ব ভারতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এবার দেখিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে যে পূর্ব আর উত্তর-পূর্ব ভারত কারও থেকে কম যায় না।’
তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব। আমরা বিশ্বাস করি, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য। মেঘালয় সেই রাস্তা দেখাবে। আমরা দিল্লীতে মেঘালয় নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম। এখানের জনজাতির ভাষা নিয়ে আমাদের আন্দোলন হবে। সামনের সংসদের অধিবেশনে ফের ভেতরে ও বাইরে এই নিয়ে আন্দোলন চলবে।’ তাঁর দাবি, ‘গারোতে এবার বিজেপি একটাও আসন পাবে না। আমি অনেক দিন ধরে সংগঠন করছি। দলের অনেক পদে থেকে কাজ করেছি। অনেক গ্রাম-শহর-রাজ্যে গেছি। এখানে যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে সেটা দেখেই বলছি।’
অভিষেকের আরও দাবি, ‘এখানে কর্মসংস্থান নেই। স্কুলে শিক্ষক নেই। হাসপাতালে শিক্ষক নেই। পরিকাঠামো নেই। আমরা এটা বদল করব।’ এরপরই মেঘালয়ের সরকারের এনপিপি-বিজেপি জোটকে কটাক্ষ করে অভিষেকের হুঙ্কার, ‘আজকের সভার জমায়েত দেখে মনে হচ্ছে, ওদের রাতে ঘুম আসবে না। আর এটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। তিন মাসের মধ্যে এনপিপি-বিজেপি জোট পরাস্ত হবেই হবে। মেঘালয় দিল্লী থেকে চলবে না আর। গোটা উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব ভারত জবাব দেবে ওদের।’ মেঘালয়বাসীর কাছে তাঁর আহ্বান, ‘মেঘালয়কে দেশের মধ্যে ১ নম্বরে নিয়ে যেতে আপনারা সবাই এগিয়ে আসুন।’