মাথাচাড়া দিল নতুন বিতর্ক। আবারও চাকরির মেয়াদ বাড়ল ইডি’র ডিরেক্টর সঞ্জয়কুমার মিশ্রর। আরও একবছরের জন্য তাঁর চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হল। এই নিয়ে পরপর তিন বছর চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি পেল ৬২ বছর বয়সী সঞ্জয়কুমার মিশ্রর। মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে। দেশ জুড়ে ইডির অধীনে বহু বিরোধী নেতার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। ফলত স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে ইডির অভিযানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই কি মোদী-শাহ’র আস্থাভাজন মিশ্রর চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হল? উঠছে এমনই প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই সুপ্রিম কোর্টকে সরকার জানিয়েছিল, মিশ্রর মেয়াদ বাড়ানোর পিছনে রয়েছে জনস্বার্থ। কেননা বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলা এমন পর্যায়ে রয়েছে, যে সেগুলির যথাযথ নিষ্পত্তি করতে গেলে এটা নিশ্চিত করা দরকার যেন একই আধিকারিকদের অধীনে সেগুলির তদন্ত হয়। সেই সঙ্গে অর্থমন্ত্রক শীর্ষ আদালতকে এও জানিয়েছিল যে কোনও নতুন কাউকে নিয়োগ করা হলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তাঁর সময় লাগবে। ৮ই সেপ্টেম্বর মিশ্রর চাকরির মেয়ার বাড়ানোর বিরোধিতা করে যে মামলা রুজু করা হয়েছিল, তা খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছিল, যে তদন্তগুলি চলছে তা শেষ করার সুবিধার্থে যুক্তিসঙ্গত ভাবে মেয়াদ সঞ্জয়কুমার মিশ্রর চাকরির মেয়াদ বাড়ানো যেতেই পারে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি’র অধিকর্তা হিসেবে মিশ্র প্রথম নিযুক্ত হন ২০১৮ সালের ১৯শে নভেম্বর। সেই সময় তাঁকে ২ বছরের নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর তাঁর নিয়োগপত্রটি বদলে ২ বছরের জায়গায় তা ৩ বছর করা হয়। এবার সেই মেয়াদ আরও ১ বছর বাড়াল মোদী সরকার। স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে বিতর্কের ঝড়। ইডি-র স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।