লিভ-ইন সঙ্গীকে খুনের পর ছক কষে, ঠান্ডা মাথায় প্রমাণ লোপাট করেছিলেন আফতাব পুণাওয়ালা। শ্রদ্ধা ওয়ালকরের দেহটাই হাপিস করে দিয়েছিলেন তিনি। প্রতি দিন রাত ২টো নাগাদ ফ্রিজ খুলে তাঁর দেহের টুকরো একটি একটি করে ছতরপুরের জঙ্গলে গিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে আসতেন। কিন্তু ভালোবাসার মানুষকে এমন নৃশংসভাবে খুন করার নেপথ্যে কী কারণ থাকতে পারে? তা জানতে অভিযুক্ত আফতাবকে লাগাতার জেরা করছেন তদন্তকারীরা। একাধিক প্রশ্ন করা হচ্ছে তাকে।
সূত্রের খবর, একের পর এক প্রশ্নবানে হাড়হিম করা সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে আফতাব। তাঁর কাছে দিল্লী পুলিশের প্রশ্ন ছিল, যাকে এত ভালোবাসলে, সেই প্রেমিকাকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করলে কেন? উত্তরে আফতাব বলে, প্রচন্ড রেগে গিয়েছিলাম। রাগের মাথায় আমি শ্রদ্ধাকে মেরে ফেলেছি। কিন্তু, এই খুনের ঘটনা কাউকে জানতে দিয়ে চাইনি। শ্রদ্ধার পরিবারের সঙ্গে ওঁর কোনও যোগাযোগ ছিল না। আমি জানতাম ওঁ মরে গেলেও কেউ খুঁজতে আসবে না। তাই আমার যা মনে হয়েছিল তাই করেছি।
শুধু তাই নয়, নাগাড়ে জেরার মুখে শ্রদ্ধাকে খুনের কথা স্বীকার করে সে। সম্পূর্ণ নির্বিকার ভাবে জানায় কী ভাবে এই নৃশংস কাণ্ড ঘটিয়েছিল। যা শুনে হতবাক তদন্তকারীরা। হাড়হিম করা সেই ঘটনার বর্ণনা আফতাব নিজেই দিয়েছে পুলিশকে। তবে তার কথা আর কাজের মধ্যে কতটা সত্যতা রয়েছে, তা জানতে নারকো টেস্ট করা হবে বৃহস্পতিবার। ইতিমধ্যেই দিল্লি হাইকোর্টে তদন্তকারীদের সেই নারকো টেস্টের অনুমতি দিয়েছে।