দীর্ঘদিন ধরেই অব্যাহত ছিল টালবাহানা। নির্বাচনের ফল বেরোনোর ৯ মাস কেটে গিয়েছিল। তবুও মিলছিল না সুরাহাসূত্র। আসানসোল পুরনিগমের বোর্ড গঠনের সমস্যা কিছুতেই কাটছিল না। ১০৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯১ টিতে জিতে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পায় তৃণমূল কংগ্রেস। তবু মেয়র পদ নিয়ে জটিলতার কারণে বোর্ড গঠনে অনেকটাই দেরি হয়। শেষপর্যন্ত পুর এলাকার বাইরে থেকে বিধান উপাধ্যায়কে মেয়র করে তারা। তিনি কাউন্সিলর ছিলেন না, সেইসঙ্গে পুর এলাকার বাসিন্দা না হওয়ায় পুর আইন সংশোধন করে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি মেয়র পদে শপথ নেওয়ার পর উপনির্বাচনে জিতে কাউন্সিলর হন বিধান। কিন্তু ওয়াসিম-উল-হক এবং অভিজিৎ ঘটক দুই ডেপুটি মেয়র নিয়ে জট থেকেই গিয়েছিল। কারণ চলতি পুর আইনে এমন কোনও সংস্থান ছিল না। এবার কাটতে চলেছে সেই জট।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের পক্ষ থেকে ওয়াসিম-উল-হক এবং অভিজিৎ ঘটককে আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়র করতে আগেই বিধানসভায় পুর আইন সংশোধনী বিল পাশ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই বিল রাজভবনে রাজ্যপালের কাছেও পৌঁছে যায়। কিন্তু তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর বিলে সই করেননি। ফলে আসানসোল পুরনিগমের জটিলতা কাটেনি। বিরোধীরা অভিযোগ করে, বোর্ড গঠনের জটিলতার কারণে নাগরিক পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে। তবে সোমবার বর্তমান রাজ্যপাল লা গণেশন সংশোধিত পুর বিলে সই করে দেওয়ায় অবশেষে দূরীভূত হতে চলেছে সেই সমস্যা।
