প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে এক সরকারি আমলাকে নিয়োগ করেছিলেন কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। রাজ্যপালের সেই সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে মন্তব্য করেছে কেরল হাইকোর্ট। আদালতের এই পর্যবেক্ষণকে রাজ্য-রাজ্যপাল চলমান সংঘাতে আরিফের জন্য বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
তবে রাজ্য সরকারের দাবি মেনে উপাচার্য থমাসের নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করতে রাজি হয়নি আদালত। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তের ভবিষ্যৎ ঠিক হবে ১৮ নভেম্বরের পর। কিন্তু গত দু-সপ্তাহে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আদালতে ধাক্কা খেলেন রাজ্যপাল আরিফ। এর আগে তিনি কেরলের নয়জন উপাচার্যকে ২৪ ঘণ্টার নোটিসে পদত্যাগ করার নির্দেশ জারি করেছিলেন। সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয় আদালত।
তাঁর নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাওয়ায় রাজ্যপাল সেই নয় উপাচার্যকে এরপর শো-কজ করেন। সেই আদেশের বিরুদ্ধেও নয় উপাচার্য আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের বক্তব্য, আবদুল কালাম টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসাবে শিক্ষা দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা সিজা থমাসকে রাজ্যপাল তথা আচার্য বিধি ভেঙে নিয়োগ করেছেন। আচার্য-রাজ্যপাল কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই পদক্ষেপ করেছেন। প্রসঙ্গত, ওই নিয়োগে আপত্তি জানিয়ে রাজ্য সরকার আদালতে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের বক্তব্য, উপাচার্য নিয়োগ বিধিতে আচার্য-রাজ্যপালকে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়নি।