অস্বস্তিতে যোগী সরকার। উত্তরপ্রদেশের ২০২১-২২ সালের নিট অর্থাৎ আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি ও ইউনানি কোর্সে ভরতির পরীক্ষায় বিপুল কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। বহু পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, তাঁদের প্রাপ্ত নম্বরের থেকে কম নম্বর পাওয়া ‘অকৃতকার্য’ প্রার্থীরা রাজ্যের কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে আয়ুশ মন্ত্রক গঠন করেছিল সদ্য ক্ষমতায় আসা মোদী সরকার। এরপর থেকেই এই বিষয়ে পড়াশোনার জন্য আলাদা কোর্সও শুরু হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে পরীক্ষাগ্রহণের পরে প্রকাশিত ফল ইন্টারনেটে লভ্য ছিল। আর এরপরই উঠেছে অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশের আয়ুশ দফতরের এক কর্মীর কথায়, ‘বহু পড়ুয়ার দাবি, তাঁরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হতে পারলেও, তাঁদের থেকে কম নম্বর পাওয়া পড়ুয়ারা ভর্তি হতে পেরেছেন। তাঁরা কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রক ও রাষ্ট্রপতির কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছেন’।
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দফতরে ইতিমধ্যেই পাল্টা চিঠি দিয়েছে মন্ত্রক। আর তারপরই উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। দায়ের হয়েছে এফআইআরও। তবে এবার যোগী সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আরজি জানিয়েছে সিবিআই তদন্তের।
এদিকে আয়ুশ দফতর ৮৯১ জন পড়ুয়াকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। এই পড়ুয়াদেরই বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা অসদুপায়ে ভরতি হয়েছেন। দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, কলেজগুলি অভিযুক্ত পড়ুয়াদের নম্বরের তথ্যগুলি যাচাই করে দেখুক। তারপর প্রয়োজনমতো পদক্ষেপ করুক।