বুধবারই পূর্ব মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে নন্দীগ্রামে অস্ত্র ও কালো টাকা নিয়ে ঢুকছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। আর এবার শুভেন্দু অধিকারী ‘গদ্দার’। তাঁকে আর এলাকায় ঢুকতে দেব না— এমনই দাবি তুলে নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে শহিদ বেদির সামনে ধরনায় বসলেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে বসে পড়েন কুণাল ঘোষও। পরে যদিও পুলিশি আবেদনে সাড়া দিয়ে ধরনা প্রত্যাহার করা হয়।
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের একই জায়গায় একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির। এদিন সকালে গোকুলনগরে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে সভা ছিল তৃণমূলের। তাতে নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরিও। অন্যদিকে, সভা শুরুর আগেই শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে শুরু করেন স্থানীয়রা। শহিদ বেদির সামনে ধরনাতেও বসে পড়েন তাঁরা।
স্থানীয়দের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী জেলার লোকজনকে প্রতারণা করেছেন। তাই তাঁকে কিছুতেই শহিদ বেদিতে মাল্যদান করতে দেওয়া হবে না। এরপর কুণাল ঘোষ স্থানীয় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই মাল্যদান করতে দেওয়া হবে। তবে শহিদ বেদিতে দেওয়া তৃণমূলের মালা সরালে চলবে না। তার উপরেই মাল্যদান করতে হবে বিজেপিকে।’ তৃণমূলের অর্পণ করা মালা সরালে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।