দুর্গাপুজোর পর এবার কি ইউনেস্কোর তরফে হেরিটেজ তকমা পেতে চলেছে নদিয়ার শান্তিপুরের ঐতিহ্যমণ্ডিত রাস উৎসব? বুধবার বিকেলে শান্তিপুরের বড় গোস্বামী বাড়িতে রাস উৎসবের সূচনা করে সেই জল্পনাই উস্কে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমি যদি এখানে না আসতাম, তাহলে অনেক কিছুই হয়তো বুঝতে পারতাম না। কিন্তু এখানে এসে যা বুঝলাম, তাতে এটাও হেরিটেজ হতে পারে বলে আমার মনে হয়। এখানে সব দেবদেবী যেন এক জায়গায় এসে একটা সাগরের তুফান তুলেছেন। আমরা তো রথের মেলায় গিয়েছি। তেলেভাজা, পাঁপড়ভাজা খেয়েছি। জিনিসও কিনেছি। আমি এই শান্তিপুরে এসে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য দেখলাম। তার সুরটা তারা বেঁধে দিয়েছেন।’
মমতার মতে, ‘এটা অনন্য। মা দুর্গার পুজো হচ্ছে। কোথাও মা কালী, কোথাও গণপতি, আবার কোথাও রাধাকৃষ্ণ, কোথাও সন্তোষী মায়ের পুজোও হচ্ছে। আমি বড় গোঁসাই বাড়িতে এসে রাধাকৃষ্ণের মূর্তি দেখলাম। আমার ধারণা ছিল না যে, একটা মেলায় এত রূপ, এত বৈচিত্র। এভাবে দিনের পর দিন বছরের পর বছর ধরে গোঁসাই পরিবার এটা ধরে রেখে দিয়েছে। এটা রাজ্যের, দেশের এবং বিশ্বের ঐতিহ্য। নিজের চোখে না দেখলে আমার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হত না।’ উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রানাঘাটের হবিবপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জেলাশাসককে জানান মুখ্যমন্ত্রী।